E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গাইবান্ধায় বন্যায় একই গ্রামে ৪ সেতু বিধ্বস্ত, সাঁকোই একমাত্র ভরসা

২০১৯ নভেম্বর ২৪ ১৭:২২:৩৪
গাইবান্ধায় বন্যায় একই গ্রামে ৪ সেতু বিধ্বস্ত, সাঁকোই একমাত্র ভরসা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের বাটি গ্রামে সাম্প্রতিক বন্যায় ৪টি সেতুর সংযোগ ভেঙ্গে গেছে। এসব সেতুতে পারাপারের এখন একমাত্র ভরসা বাঁশের সাকো। তবে ভারী যানবাহন চলাচল দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ রয়েছে। 

ওই ৪টি সেতু বাটি গ্রামের বাটি, পূর্ব বাটি, মধ্য বাটি ও পশ্চিম বাটি এলাকায় অবস্থিত। এসব সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় সংযোগ সড়ক মেরামত না করার কারণে সাঘাটা ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৯টি গ্রামের লাখ লাখ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।

সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে জানাগেছে, গত ১০ থেকে ২৫ শে জুলাই পর্যন্ত এই উপজেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়। এ সময় পানির চাপে সাঘাটার ২শ’ ২৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তার মধ্যে প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। অন্তত ১০টি সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে গেছে।

এর মধ্যে সাঘাটা-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের বাটি গ্রামেই রয়েছে ৪টি সেতু। এই সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার। এটি সাঘাটার হেডকোয়ার্টার বোনারপাড়া থেকে বাটি হয়ে গোবিন্দগঞ্জের রাখাল বুরুজ ও নাকাইহাট ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ শহর পর্যন্ত চলে গেছে। পূর্ব বাটি গ্রাম থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যেই রয়েছে এই ৪টি সেতু। এসব সেতুর সংযোগ সড়ক স্থানে বসানো হয়েছে বাঁশের সাকো।

এ বাঁশের সাকোয় জনসাধারণ অতি কষ্টে পারাপার হলেও ব্যবসায়ীদের পণ্য পারাপার সম্ভব হচ্ছে না। এ সকল এলাকার বোনারপাড়ায় অবস্থিত স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদেরকে সামান্যটুকু রাস্তায় ভ্যানযোগে অন্য পথে বেশি টাকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। ময়মন্তপুর, রামনগর ও দলদলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ীরা জানায়, আমাদের গ্রাম থেকে সাঘাটা উপজেলার হেডকোয়ার্টারে যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। কিন্তু এই সড়কের ৪টি স্থানে বাঁশের সাকো দেওয়া হলেও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

ফলে মালামাল আনতে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে শহরে যেতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সাকো গুলোর কোনটির খুঁটি দূর্বল হয়ে পড়েছে, কোনটির কাঠের পাটাতন খুলে গেছে। এর উপর দিয়েই লোকজন পায়ে হেঁটে চলাচল করছে। রিক্সা ভ্যান, অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলে উঠলে সাঁকো দোল খাচ্ছে। বোনারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়ারেছ প্রধান জানান, সড়কটি দুই উপজেলার মানুষের যোগাযোগের সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করছে। প্রয়োজনে এক উপজেলার মানুষ আরেক উপজেলায় যায় এই সড়ক পথে। অথচ ব্রীজের সংযোগ সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে না।

সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্থ সেতু ও রাস্তা মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। খুব শিঘ্রই সংযোগ সড়ক নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

(এস/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test