E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাগরপুরে উপজেলা আ. লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ 

২০১৯ নভেম্বর ২৪ ১৭:৩৬:২৫
নাগরপুরে উপজেলা আ. লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ 

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম উইলিয়ামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্দ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার সদর বাজারের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা আ্ওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনের এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করে।

বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুদরত আলী, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ নাজমুল হক তপন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শামছুল হক, প্রচার সম্পাদক খালিদ হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, নাগরপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি আল-মামুন প্রমুখ। এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ৭ দিনের মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির জাকিরুল ইসলাম উইলিয়ামের বিরুদ্ধে ষড়ষন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, তথ্য লোপাট, প্রতারণা, মিথ্যা তথ্য প্রদান, মানহানী ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে গত মঙ্গলবার নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া গ্রামের ধর্ষিত কলেজ ছাত্রীর বাবা সাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে টাঙ্গাইল বিচাররিক আদালতে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম ও ধুবরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম রঙ্গু, বিএনপি নেতা শাহাবুল আলম দুলাল, ধুবড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুর রহমান শাকিল। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, সারুটিয়াগাজি গ্রামের জয়ধর শেখের ছেলে জুয়েল রানা গত বছরের ১২ জুলাই এক কলেজ ছাত্রীকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে তার আত্মীয় বাড়ীতে তিনদিন আটকিয়ে রেখে ধর্ষন করে। এঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে গত বছরের ১ নভেম্বর টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে জুয়েল রানাসহ পাঁচজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। দীর্ঘদিন তদন্ত করে সিআইডি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। ধর্ষণে জড়িত সব আসামী বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

এদিকে আসামীদের মামলা থেকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতারা পরস্পর যোগসাজসে ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তার প্যাডে ধর্ষণের বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে উল্টো ধর্ষিতাকে দেহ ব্যবসায়ী ও মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে আসামীদের পক্ষে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়, হ্যান্ডবিল ও পোষ্টার ছাপিয়ে বিলি করে।

এছাড়াও ধর্ষক জুয়েল রানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম উইলিয়ামের কর্মচারী ও অনুসারী হওয়ায় তাকে মামলা থেকে রেহাই দিতে ধর্ষিতার পরিবারকে ব্যাপক চাপ প্রয়োগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে বাদিকে বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে ।

(আরএস/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test