E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গোবিন্দগঞ্জে ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজে’ ৫টি গরুর মৃত্যু, আক্রান্ত সহাস্রাধিক

২০১৯ নভেম্বর ২৬ ১৮:২৮:২১
গোবিন্দগঞ্জে ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজে’ ৫টি গরুর মৃত্যু, আক্রান্ত সহাস্রাধিক

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দঞ্জে উপজেলার গ্রামে গ্রামে গরুর ভাইরাস জনিত রোগ ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় সহাস্রাধিক গরু এই ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত এবং কামারদহ ইউনিয়নের মাস্তা গ্রামের কৃষক রেজাউলের একটি গাভী ও সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের সন্তোষ মোহন্তের একটি গরুসহ বিভিন্ন গ্রামে ৪/৫টি গরু মারা যাওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। এ কারণে কৃষক ও খামারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

তবে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস জানায় ইতিমধ্যে ৭শতাধিক গরুকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে এবং গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় গত দুই সপ্তাহ পৃর্বে থেকে বিভিন্ন গ্রামে গরুর ভাইরাস জনিত ‘লাম্পি স্কিন ডিজিস’ নামে নতুন একটি রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সহাস্রাধিক গরু আক্রান্ত হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৪/৫টি গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাগণ এ ব্যাপারে কোন খোজ রাখছেন না বলে ভূক্তভোগীরা অভিযোগে জানিয়েছে । উপায়ন্তর না পেয়ে তারা স্থানীয় হাতুরে চিকিৎসকদের শরনাপন্ন হতে বাধ্য হচ্ছে। এতে করে এসব চিকিৎসকরা অর্থ হাতিয়ে নিলেও খুব একটা সুবিধা পাচ্ছেনা কৃষকরা। ফলে এ রোগের সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেকের গরু মারা যাচ্ছে।

উপজেলা কামারদহ ইউপির মধ্য মাস্তা গ্রামের কৃষক রেজাউলের স্ত্রী শাকিলা বেগম জানায় ৩/৪ হাজার টাকা খরচ করার পরও আমার গরু মারা গেছে। একই এলাকার কৃষক আসাদুল, জিন্নাতুল সহ অনেকেরই অভিযোগ বাড়ীতে বাড়ীতে গরু এ নতুন রোগে আক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত সরকারী চিকিৎসকদের দেখা মিলছেনা।

এ ব্যাপরে সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে যোগাযোগ করা হলে ভেটেনারী সার্জন ডাঃ মোঃ বেলাল হোসেন জানান, গবাদি পশুর এ রোগটি বাংলাদেশে প্রথম। এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। মশা-মাছির মাধ্যমে এ রোগটি ছড়ায়। এই ভাইরাস রোগে আক্রান্ত গবাদি পশুর শরীরে প্রথমে মাংস গুটি গুটি (নডিউল) আকারে ফুলে ওঠে। পেটের নীচে, গলার নীচে, পা ফুলে যায়, পানি জমে যাওয়ার পাশাপশি খাবারে অরুচি হয়। ফুলে যাওয়া স্থানে পচন ধরতে থাকে এবং ওই স্থানে প্রচুর মাছি পড়তে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে গরুর শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে জ্বর আসে, এরপর গরুটি মারা যায়।

তিনি আরও জানান, গত১০/১২ দিন আগে থেকে এ উপজেলায় ৭শতাধিক গবাদিপশুকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। অনেক গরু সুস্থও হয়েছে। মারা যাওয়ার ঘটনা আমাদের জানা নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব কুমার দে জানান- দেশের অন্যান্য জায়গার ন্যায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের সর্বত্রই কমবেশী এ রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। গরুর এ রোগ প্রতিরোধে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। তারপরও এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও করনীয় সম্পর্কে গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠকসহ লিফলেট বিতরনের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারনা অব্যাহত রয়েছে।

(এসআরডি/এসপি/নভেম্বর ২৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test