E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বকশীগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শেরপুরে, ভোগান্তির শিকার জনগন

২০১৪ আগস্ট ০৫ ১০:৪৫:৫৪
বকশীগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শেরপুরে, ভোগান্তির শিকার জনগন

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি : মাসের পর মাস পরিষদের না গিয়ে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন শেরপুর থেকে। যে কারনে মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মওলা নিজ বাসায় এখন সুখ শান্তিতে রয়েছেন। আর মাসের পর মাস পরিষদ তালাবদ্ধ থাকায় ভেগান্তির শিকার হচ্ছেন মেরুরচর ইউনিয়নবাসী।

জানা গেছে মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মওলা সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও ছয় মাসেও একদিন ইউনিয়ন পরিষদে না যাওয়ায় সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ও ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে মেরুরচর ইউনিয়নবাসী। আর ইউনিয়ন পরিষদ এখন গোশালয়ে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় সরকারের তৃনমূল পর্যায়ের উন্নয়নের কেন্দ্রবৃন্দু হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। আর এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসের পর মাস ইউনিয়ন পরিষদে না যাওয়ায় সামাজিক বিচারসহ বৃদ্ধি পাচ্ছে মামলা মোকাদ্দমা। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারন মানুষ। চেয়ারম্যানের পৈতৃক বাড়ি মেরুরচর ইউনিয়নের মাদারের চর গ্রামে হলেও দীর্ঘদিন যাবত স্বপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন শেরপুরে। তাই বেশিরভাগ সময় তিনি শেরপুরেই থাকেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর প্রায় অর্ধকোটি টাকা দিয়ে বকশীগঞ্জ পৌর শহরে একটি বাসা কিনেছেন। সেই বাসায় বসেই মাঝে মাঝে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তবে বেশির ভাগ সময় তিনি শেরপুর থাকায় ভোগান্তির যেন শেষ নেই মেরুরচর ইউনিয়নের মানুষের। পরিষদের কর্তাব্যাক্তি উপস্থিত না থাকায় পরিষদের সদস্য ও সচিবকেও নানা কাজে সময় দিতে হয় শেরপুর/বকশীগঞ্জে অবস্থানরত চেয়ারম্যানকে। ফলে পরিষদ পাহারা দেয়ারও লোক থাকে না। এজন্য একটি নাগরিক সনদ নিতেও দিনের পর দিন ভোগান্তির শিকার হতে হয় ওই ইউনিয়নের নাগরিকদের। আর এভাবেই চলছে মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। স্থানীয় সরকারের তৃনমূল পর্যায়ে উন্নয়নের কেন্দ্রবৃন্দু ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করতে চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সচিবের নিয়মিত পরিষদে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও কখনই পরিষদে তাদের দেখা মিলেনি এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। যে কারনে নাগরিক জন্মনিবন্ধন,ওয়ারিশ নামাসহ বভিন্ন কাজকর্মে মেরুরচরবাসীর বকশীগঞ্জে আসতে হয় অথবা বকশীগঞ্জে না পেয়ে শেরপুর থেকে চেয়ারম্যান কখন আসবে সেই অপেক্ষায় থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা নয়তো দিনের পর দিন। তাই এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন নজর দেবেন এমনটাই প্রত্যাশা মেরুরচর ইউনিয়নবাসীর।

(এএলএল/এইচআর/আগস্ট ০৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test