E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কোম্পানীগঞ্জে দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

২০১৯ নভেম্বর ২৯ ২৩:২৩:১১
কোম্পানীগঞ্জে দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিশির কুমার বিশ্বাস’র বিরুদ্ধে এক প্রবাসী পরিবারের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার ডুবাই আলার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ডুবাই (সার্জার) নাগরিক মো.আলী আহম্মদ আবদুল্ল্যাহ (কফিল) তার অধীনস্থ কর্মচারী ফাতেমা বেগম’র সাথে চলতি মাসের ৩নভেম্বর বাংলাদেশে বেড়াতে আসে । কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে কতিপয় স্থানীয় থানার তিন দালালের ইন্ধনে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকের হোসেন তদন্তে গিয়ে ওই বিদেশী নাগরিকের টিকেট এবং ভিসা নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিশির কুমার বিশ্বাস ওই প্রবাসীর বাসায় রাত ৭টায় প্রবেশ করে এবং তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে রাত ১১টার দিকে ১২ হাজার টাকা নিয়ে বিদেশী নাগরিকের টিকেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ফেরত দেয়। এ সময় (এসআই) শিশির কুমার বিশ্বাস টাকা নিয়ে আসার সময় প্রবাসী পরিবারকে টাকা দেওয়ার ব্যাপারে কাউকে না জানাতেও বারণ করে।

ফাতেমা বেগম অভিযোগ করেন, এসআই শিশির ঘরে ঢুকে আরব আমিরাতের নাগরিক আলী আহামেদ ও তাকে জড়িয়ে অশালীন কথা বলেন। এক পর্যায়ে তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। এরপর বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে জানালে তিনি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মো. আবদুর রহিমকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নিদের্শ দেন। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিশির কুমার বিশ্বাস বলেন, আমার ব্যাপারে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভূয়া,আমার সাথে এলাকাবাসীও ছিল। আমি কোন টাকা নেইনি।

এ বিষয়ে মৌলিক অভিযোগ পেয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার এ ঘটনা তদন্তে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে এসআই জাকির হোসেন ২টি বিমান টিকিট নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তারা বৈধ না অবৈধভাবে দেশে এসেছেন তা খতিয়ে দেখার জন্য টিকিটগুলো নিয়েছেন। তবে এসআই শিশির ওই বাসায় যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও কোনো টাকা নেননি বা তাদের কোনো ধরনের হুমকি দেননি বলে দাবি করেন।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় মৌখিক ভাবে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সদর সার্কেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে প্রবাসী ওই পরিবারকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জানানোর জন্য বলেছি। তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এস/এসপি/নভেম্বর ২৯, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test