মৌলভীবাজার থেকে কমলগঞ্জে ফেরার পথে দুই নারী ধর্ষণের শিকার, আটক ৭

মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার থেকে কমলগঞ্জে ফেরার পথে সিএনজি চালক ইউসুফের সহযোগিতায় দুই গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শুক্রবার (২০ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের দেওরাছড়া চাবাগান এলাকার স্থানীয় বদ্ধভ’মি এলাকায় এঘটনা ঘটে । ঘটনায় জড়িত সন্ধেহে সিএনজি চালক ইউসুফসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ।

শনিবার ভোরে কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার)। তিনি বলেন, ঘটনার সাথে সাথে সিএনজি চালকসহ ৭জনকে আট করা হয়েছে। এসময় তিনি জানান সিএনজি চালকের সাথে ঐ নারীর পূর্বের পরিচয় ছিল।

তবে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান আটকের বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে পূনরায় ফোন করে ৭জন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনায় জড়িত সন্ধেহে ৭জনকে আটক করা হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে মৌলভীবাজার থেকে কমলগঞ্জের মুন্সিবাজারে যাওয়ার পথে পথিমধ্যে সিএনজি চালকের সহযোগিতায় গণধর্ষনের শিকার হন ঐ দুই গৃহবধূ। এর পর রাত সোয়া তিনটার দিকে মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন এই দুই নারী।

ধর্ষণের শিকার ঐ নারীরা জানান, বাড়িতে যাবার জন্য একটি সিএনজি অটোরিক্সা রিজার্ভ করে মৌলভীবাজার পৌরসভার সামনে থেকে মুন্সিবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন দু’জন। তাদের একজনের সাথে একটি শিশু বাচ্চাও ছিল। মুন্সিবাজার যাওয়ার প্রধান সড়কটি ভাঙ্গাচুরা থাকায় কালেঙ্গা হয়ে ফাড়ি পথে সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে গেলে ঐ দুই নারী প্রতিবাদ জানালে রাস্তা খারাপের অজুহাত দেখায় সিএনজি চালক ইউসুফ।

কিছু দুর যাওয়ার পর কালেঙ্গা নামক জায়গা থেকে আরও দু’জনকে চালক গাড়িতে তুলে, বিষয়টি সন্ধেহজনক হলে এতেও তারা প্রতিবাদ জানায়। কিছু দুর যাবার পর পিছনে আরেকটি সিএনজি অটোরিক্সার আলো দেখেন তারা। এক পর্যায়ে চালকসহ অন্যরা দেওরাছড়া চা বাগানের বদ্ধভুমি এলাকার নির্জনস্থানে নিয়ে দুইজনকে গণধর্ষন করে পাসন্ডরা। এসময় তাদের একজনের সাথে দুইজন ও অন্য জনের সাথে ৫ জন মিলে ধর্ষন করে। বর্তমানে তারা মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ২১, ২০১৯)