E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২২ ডিসেম্বর আগৈলঝাড়া শত্রুমুক্ত দিবস

২০১৯ ডিসেম্বর ২১ ১৭:৪৯:৩৮
২২ ডিসেম্বর আগৈলঝাড়া শত্রুমুক্ত দিবস

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আগামীকাল ২২ ডিসেম্বর বরিশালের আগৈলঝাড়া-গৌরনদী উপজেলা হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশ শত্রুমুক্ত হলেও বিজয় এর ৬দিন পর আজ ২২ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়ে বিজয় পতাকা উড়েছিল বরিশালের আগৈলঝাড়া-গৌরনদীতে।

দীর্ঘ ২৮দিন ধরে মুক্তি বাহিনী ও মুজিব বাহিনীর যৌথ আক্রমণের পর বাধ্য হয়ে ওইদিন শতাধিক পাকসেনা মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। ফলে বাংলাদেশের সর্বশেষ হানাদারমুক্ত এলাকা হল আগৈলঝাড়া-গৌরনদী। স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখানে এখনও সরকারী উদ্যোগে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে কোন স্মৃতিসৌধ নির্মিত না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও প্রজন্মের মদ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা নির্বিচারে হাজার হাজার লোক হত্যা করে এই এলাকায়। ৩ শতাধিক মা-বোনের ইজ্জৎ হারাতে হয়েছিল পাকহানাদার ও তাদের দোসরদের হাতে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এলাকায় সর্ব প্রথম সাবেক শহীদ মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, এ্যাড. আঃ করিম সরদার’র উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা হয়। ওই দলের প্রধান ছিলেন মতিয়ার রহমান তালুকদার। তার সহযোগী ছিলেন নুর মোহম্মাদ গোমস্ত। কোটালীপাড়ার হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠন করা হয় হেমায়েত বাহিনী।

তিনি ও তার বাহিনী আগৈলঝাড়া-রামশীল-পয়সারহাট-সিকিরবাজার এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ করেন। সর্বশেষ মুজিব বাহিনীর একটি দল ভারত থেকে ট্রেনিং শেষে আগৈলঝাড়া-গৌরনদীতে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক চিফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। তার সহযোগী ছিলেন রকিব সেরনিয়াবাত, ফজলুর রহমান হাওলাদার ও মেজর শাহআলম তালুকদার অন্যতম।

বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ১৬ ডিসেম্বরের পূর্বে আত্মসমর্পণ করলেও এ এলাকায় পাকসেনারা দীর্ঘ ২৮দিন যুদ্ধের পরে ২২ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। যে কারণে আজকের এই দিনটি আগৈলঝাড়া-গৌরনদী মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

(টিবি/এসপি/ডিসেম্বর ২১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test