E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরায় বন্দুকযুদ্ধে ১৩ মামলার আসামি নিহত 

২০২০ জানুয়ারি ০৩ ১৬:১০:০৪
সাতক্ষীরায় বন্দুকযুদ্ধে ১৩ মামলার আসামি নিহত 

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে নিহত ব্যক্তি খুন ও ডাকাতির ১৩ মামলার আসামি।

বৃহষ্পতিবার মধ্যরাতে বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা ঘটে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গা দামারপোতা গ্রামের জালাল মোল্লার নেতৃত্বাধীন গণ ঘেরের বেতনা নদীর বেড়িবাঁধের পাশে।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান জানান মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের কেরামত আলির ছেলে জাকির হোসেনকে (৪০) পুলিশ আটক করে দু’দিন আগে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দু’টোর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে পুলিশ তার অস্ত্রভান্ডার তল্লাশিতে যায়।

এ সময় তারা দামারপোতা গণঘেরের পাশে বেতনা নদীর বেড়িবাঁধের উপর পৌঁছালে জাকির বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দু’পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে জাকির গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

পুলিশ পরিদর্শক আরও জানান, তার বিরুদ্ধে দামারপোতার আব্দুর রশীদ হত্যা, চোরাচালান, ঘের দখল ও ডাকাতির ১৩ টি মামলা রয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও চার রাউণ্ড গুলি ও দু’টি ছোরা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিহত জাকির হোসেনের স্ত্রী বুলু খাতুন জানান, তার স্বামীকে বুধবার সন্ধ্যায় মাটিয়াডাঙা খেয়াঘাট এলাকায় তার ভাসুরের ছেলে বিপ্লবের চায়ের দোকান থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার সকালে সে বন্ধুকযুদ্ধে মারা গেছে বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মকফুর হোসেন তাকে জানান।

তবে স্থানীয়রা জানান, জাকির নিজেকে র‌্যাব এ সোর্স পরিচয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি করতো। জাকির, তার ভাই আবুল কাশেম, আব্দুল কাদের, ভাইপো মিমসহ একটি গোস্টীর হাতে এলাকার সংখ্যালঘুরা জিম্মি হয়ে পড়ে। তাদের ঘেরের মাছ প্রকাশ্যে লুট করতো ওই বাহিনীর সদস্যরা। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষপর্যায়ের নেতার আত্মীয় হওয়ায় তাদেরকে কিছু বলতে পুলিশও সাহস করতো না। গত বছরের ৩ মে শুক্রবার (ফণি ঝড়ের আগের দিন) মাটিয়াডাঙা গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনকে বাড়ি থেকে খুলনায় ধার কাটার জন্য ডেকে নিয়ে যায় জাকির, তার ভাই কাদের ও মাজেদ গাজঅর ছেলে মোক্তার গাজী। ওই দিন রাতে খুলনার ডুমুরিয়া থানার শান্তিনগর গ্রামের কামরুল গাজীর বাড়িতে ডাকাতি করতে যেয়ে র‌্যাব এর সাথে বন্দুকযুদ্ধে ইব্রাহীম মারা যায়। এ সময় কাদের ও শ্যামনগরের আনারুল (মাটিয়াডাঙারন ঘরজামাই) গুলিতে জখম হয়। পরে জাকির চেষ্টা করেও মোকাক্তারকে ধরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৩, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test