E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৩০৩ জনের দখলে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন নদী!

২০২০ জানুয়ারি ০৪ ১৫:৫৯:৪১
৩০৩ জনের দখলে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন নদী!

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ছোট দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় প্রতিষ্ঠান সবই আছে অবৈধ দখলদারদের তালিকায়। কেউ সামান্য টিনের ঘর তুলে, কেউ পাকা ঘর গড়ে তুলে দখল করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গন নদী।

টাঙ্গন নদী দখলদারদের প্রাথমিক তালিকায় ৩০৩ জনের নাম উঠে এসেছে। গত ৩০ জুলাই জেলা প্রশাসক, ঠাকুরগাঁও ওই তালিকা প্রকাশ করেছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কাছেও এই তালিকা পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

সদর উপজেলার এসব দখলকারী শুধু নদ-নদী নয়, খাল-বিলের জায়গাও দখল করেছে।সেখানে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে স্থায়ী, অস্থায়ী নানা স্থাপনা। একেবারে ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে শহর সব জায়গায় খাল-নদীতে পড়েছে দখলদারদের থাবা। নদী রক্ষা কমিশনের নির্দেশে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করেছে। তবে এ তালিকা পরিপূর্ণ নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

নদী রক্ষা কমিশন বলছে, এ তালিকা আরও যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে, কোন দখলদারের নাম বাদ পড়েছে কিনা। অবৈধ দখল উচ্ছেদে এক বছরের ক্রাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হবে।

দখলদারদের তালিকা ঘেঁটে দেখা যায়, বেশির ভাগ স্থানীয় ব্যক্তি নদী-খাল দখল করে দোকান পাট, ঘর-বাড়ি করেছেন। গত ১ জুলাই প্রকাশিত উচ্চ আদালতের এক রায়ে নদী দখলকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রায়ে সব নদ-নদীকে জীবন্ত সত্তা এবং নদ-নদী সুরক্ষায় নদী রক্ষা কমিশনকে এর আইনগত অভিভাবক ঘোষণা দেওয়া হয়।

নদী রক্ষা কমিশন সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে প্রথমবারের মতো নদী-খাল-বিল দখলদারদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসকেরা মূলত এ তালিকা করেছেন। এটি চলমান প্রক্রিয়া। এ তালিকা আরও যাচাই-বাছাই করা হবে। আরও দখলদার আছে কি না, সেটা দেখা হবে। দখলদার উচ্ছেদে ইতিমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে কিছু কিছু জেলায়। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে এক বছরের একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হবে। প্রতিটি জেলার, জেলা প্রশাসন এটি পরিচালনা করবে।

দখলদারদের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভূমিহীন, হতদরিদ্রদের পাশাপাশি এ তালিকায় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদদের নামও রয়েছে। কাঁচা-পাকা ঘর করে নদীর জায়গা দখল করে রেখেছেন আরও অনেকে।

সুত্রমতে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোবিন্দনগর মৌজার অবৈধ দখলদার ৪০ জন, আকচা মৌজায় ৩ জন এবং বাকি ২৬০ জন অবৈধ দখলদার নিশ্চিন্তপুর মৌজার।

উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, নদ-নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে টাংগন নদীর খনন কাজ শুরু হয়েছে, শীঘ্রই অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

(এফ/এসপি/জানুয়ারি ০৪, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test