E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাপাসিয়ায় গরু চুরির হিড়িক, আতঙ্কে কৃষক-খামারি

২০২০ ফেব্রুয়ারি ০১ ১৫:৩৪:৩২
কাপাসিয়ায় গরু চুরির হিড়িক, আতঙ্কে কৃষক-খামারি

সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় কৃষক ও খামারিদের গরু চুরির হিড়িক পড়েছে। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের বাড়ি থেকে চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে। গভীর রাতে সংঘবদ্ব চোরের দল কাভার্ড ভ্যান ও পিকাপ নিয়ে কৃষকের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। চুরি রোধ করতে এলাকার কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন গোয়াল ঘর। কিন্তু পুলিশের তৎপরতা না থাকা হিংশ্র হয়ে উঠছে সংঘদ্ব গরু চুরের দল। সুতএসব ঘটনার মামলা নথিভুক্ত না হওয়া, ক্ষতিগ্রস্থরা প্রতিকার না পাওয়া আশঙ্কায় থানায় অভিযোগ দেন না। এতে করে চোরের দল নির্বিঘ্নে পার পেয়ে যাচ্ছেন। 

সুত্র জানায়,গত দুই মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৫০-৬০টি গরু চুরি হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে এমন চুরির ঘটনা। গতকাল ৩০ জানুয়ারী রাতেও চাঁদপুর ইউনিয়নের কোটবাজালিয়া গ্রামের সালাম খানের ছেলে ছোলায়মানের ৪টি গরু চুরি হয়েছে। তার মধ্যে ২টি দামুর ও অস্ট্রেলিয়ানসহ ২টি গাভী ছিল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা হবে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক।

২৯ ডিসেম্বর পাবুর বাজারের দক্ষিণে হাজারি বাড়ির মিলনের ৭টি গরুর মধ্যে ৩টি গরু চুরি হয়েছে। তার পরের দিন ২০ ডিসেম্বর রাতে একই এলাকার আমজাদ হোসেন খানের ষাড় গরু চুরি হয়। এ সময়ের মধ্যেই ওই এলাকার পশ্চিম পাড়া মিয়ার উদ্দিন মোল্লার ১টি, তার বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন মোল্লার ১টি, নজরুল আকন্দের ১টি, হারেজ আলী সরকারের ১টি, পার্শ্ববর্তী কামাল বেপারির ২টি, দাইবাড়ির পশ্চিম পাশের হরমুজ আলীর ২টি, মেজবাহ উদ্দিন ফকিরের ৩টি, সাইফুল ইসলামে ৩টি, বাজারের পাশের মুরাদ মাহমুদের ৪টি, মেম্বর আফজাল ফরাজীর ৪টি, খান বাড়ির কাইয়ুম খানের ৬টি গরু চুরি হয়েছে। এছাড়াও ২৫ ডিসেম্বর মালিক পাড়া এলাকার আকবর আলীর ৩টি গরু ও তার কিছুদিন পূর্বে দূর্গাপুর ইউনিয়নের ঘিঘাট এলাকা থেকে ৫জন কৃষকের ৮টি গরু চুরি হয়, উপজেলার সদরের রাউৎ গ্রামের লিটন মল্লিকের বাড়ীথেকে ৩টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।

কৃষক ও খামারিদের গুরু চুরির ঘটনায় তারা সহায়-সম্বল হারিয়ে পড়ছে। উপজেলা অধিকাংশ মানুষ কৃষক। তাই প্রত্যেকের বাড়িতে গবাদি পশু রয়েছে। সবাই এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। থানায় চোরদের নামসহ অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা। থানা পুলিশ খরচ বাবদ টাকা নিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে চুরি হয়েছিল। কয়েকদিন তা বন্ধ ছিল। এখন আবার বাড়ছে। এ ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসকেডি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test