E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেরপুরে রিমান্ডে ৩ শিবির নেতা

২০১৪ আগস্ট ০৭ ১৭:৩০:০৪
শেরপুরে রিমান্ডে ৩ শিবির নেতা

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরে গ্রেপ্তারকৃত ৩ শিবির নেতা পুলিশ রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। যুদ্ধাপরাােধের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কামারুজ্জামানের এলাকায় পুলিশের ওপর চোরাগুপ্তা হামলা, মিটিং-মিছিলের নামে নাশকাতায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতিসহ নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তারা রোজার মাসে শেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ও মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক করার কথা জানিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে ওই ৩ শিবির নেতাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে ভারপ্রাপ্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আ ন ম ইলিয়াস তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরা হলো-ঢাকার উত্তরখান থানা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ও শেরপুর সদর উপজেলার বুড়িয়ারপাড় গ্রামের কেরামত আলী (২৪), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরপুর সদরের কুমরী মুদিপাড়ার রাশেদুল ইসলাম (২৮) এবং শেরপুর জেলা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারী ও নালিতাবাড়ীর কাউয়াকুড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান (৩০)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. জাফর আলী জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে ওই ৩ শিবির নেতা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। তাদের দেওয়া সেইসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। ওই ৩ জনের মধ্যে রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে ও কেরামত আলীর বিরুদ্ধে ঢাকায় দু’টি করে সন্ত্রাস-নাশকতামূলক কর্মকান্ডের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, যুদ্ধাপরাধ ইস্যুসহ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার উদ্দেশ্যে তারা রোজার মাসে যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের শীর্ষ নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের এলাকার মাদ্রাসাসহ শেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় গোপন বৈঠক করার কথা স্বীকার করেছেন। মূলত; বিশেষ উদ্দেশ্যে তাদের গোপন তৎপরতা চলছে। তবে স্থানীয় আইন-শৃংখলা বাহিনী সতর্ক থাকায় তারা বিশেষ অবস্থা তৈরি করতে পারছে না। অন্যদিকে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা চলছে।
উলে¬খ্য, গত ২৯ জুলাই শুক্রবার দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের বুড়িয়ারপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শিবির নেতা কেরামত আলীর নেতৃত্বে সরকার উচ্ছেদ, যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল, পুলিশ প্রশাসনের উপর চোরাগুপ্তা হামলা, মিটিং মিছিলের নামে নাশকাতায় আইন শৃঙ্খলার অবনতিসহ নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ঢাকা ও রাজশাহীসহ শেরপুরের ২০/২২জন শিবির নেতা-কর্মী ও ক্যাডার গোপন বৈঠক করছিল। ওই বৈঠক চলাকালে ডিবি পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে শিবির নেতা কেরামত আলী, রাশেদুল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় অন্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতেই ডিবি পুলিশের এসআই মিঠু মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে শেরপুর সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
(এইচবি/এএস/আগস্ট ০৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test