E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বরিশালে কোচিং শিক্ষকের হাতে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত

২০২০ ফেব্রুয়ারি ০৯ ১৮:৫০:২৭
বরিশালে কোচিং শিক্ষকের হাতে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : নগরীর জগদীশ সারস্বত গালর্স স্কুল এন্ড কলেজে ক্লাস চলাকালীন সময়ে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করাসহ ইচ্ছা মাফিক ক্লাস রুটিন তৈরী করে নিয়ম বহিভূত কার্যক্রমের প্রতিবাদ করায় অধ্যক্ষকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে সহকারী শিক্ষকসহ কোচিং বাণিজ্যে জড়িত কয়েকজন শিক্ষক।

রবিবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে স্কুলে বসেই অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলমকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করে সহকারী শিক্ষক কাওসার হোসেন ও তার অপর সহযোগি শিক্ষকরা। অধ্যক্ষ শাহ আলম স্কুলের শিক্ষকদের রুটিন তালিকা দেখিয়ে অভিযোগ করে বলেন, তার স্কুলের শিক্ষকরা তাদের ইচ্ছেমত রুটিন তৈরী করে ক্লাস করতে চাইলে তিনি আপত্তি করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্কুলে অধ্যক্ষ শাহ আলম ও চারজন খন্ডকালীন শিক্ষকসহ আরও ২১জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এদের মধ্যে কতিপয় শিক্ষক ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় থেকে স্কুলের নিয়ম ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করে তৃতীয় শ্রেণী থেকে অস্টম শ্রেণীর ছাত্রীদেরকে চাঁপ প্রয়োগ করে স্কুলের মধ্যে কোচিং সেন্টারের নামে বাণিজ্য খুলে বসেছে। কয়েকজন শিক্ষক প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক কোচিং করিয়ে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এ বিষয় একাধিকবার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসন ও সাবেক স্কুল কমিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করেও কোন সুফল পায়নি। উল্টো রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকা শিক্ষকদের দাপটে স্কুল কমিটি থেকে কয়েকজন সভাপতি পদ থেকে চলে যাওয়ার পর থেকে যে যার মতো স্কুলকে ব্যবহার করে আসছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষকরা বলেন, অধ্যক্ষর সাথে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের অনিয়ম নিয়ে দ্বন্ধ চলে আসলেও প্রধানশিক্ষকের গায়ে হাত তোলা ঠিক হয়নি।

অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলম বলেন, আমি ২০১৭ সালের ১ আগস্ট এই স্কুলে যোগদান করার পর থেকেই দেখতে পাই এখানে শিক্ষকদের স্কুলে আসা-যাওয়ার কোন নিয়মনীতি নেই। স্কুলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কতিপয় শিক্ষকের এসব কাজে বাঁধা প্রদান করার পর থেইে আমাকে প্রায় সময় অপদস্থ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমি কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরীসহ শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক কমিটি বরাবর লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছি।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী শিক্ষক কাওসার হোসেন বলেন, আমি অধ্যক্ষর গায়ে হাত তুলিনি, তবে তার সাথে আমার বাগ্বিতন্ডা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক কমিটির এক সভাপতি বলেন, ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার কারনেই এখানে মেয়েরা ভর্তি না হয়ে দূরের স্কুলগুলোতে ভর্তি হচ্ছে। তাছাড়া স্কুলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়ার চেয়ে কোচিং ব্যবসা নিয়ে কতিপয় শিক্ষকদের মাথা ব্যাথা বেশি। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেক সময় ওইসব শিক্ষকের চক্ষুশুলের কারন হওয়ার কারনেই আমরা কমিটি থেকে বের হয়ে এসেছি। বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

(টিবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test