কেন্দুয়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী বাজারের আশরাফুল উলুম জানাতুল মাওয়া মহিলা কওমী মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল হালিম নেওয়াজ সাগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কেন্দুয়া থানা ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের নেতৃত্বে বুধবার সন্ধ্যার পর কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে রাত ৮ টার দিকে কেন্দুয়া থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে।

ওই মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষন ও ধর্ষণের পর অন্তঃস্বত্ত্বা ছাত্রীর পরকল্পিতভাবে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে গত ১৯ জানুয়ারী ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে আব্দুল হালিম নেওয়াজ সাগরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর থেকে শিক্ষক সাগর তার মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে বসত বাড়ির ঘরে তালা লাগিয়ে আত্মগোপন করেছিল। সাগর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কৌশলে বন্ধ রেখে পালিয়ে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেফতারে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হবে। ধর্ষণের ঘটনায় এর আগে সরেজমিন তদন্তে আসেন নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মোঃ আকরব আলী মুন্সি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, ইতিমধ্যে ধর্ষিতা ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে। তাছাড়া ওই ছাত্রীটি আদালতে উপস্থিত হয়ে ম্যাজিস্টেটের নিকট শিক্ষক আব্দুল হালিম নেওয়াজ সাগররের বিরুদ্ধে ধর্ষন ও পরবর্তী ঘটনার জবানবন্দিও দিয়েছে।

(এসবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০)