E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্কুলের নতুন ভবন হস্তান্তর না করেই ব্যবহার যোগ্য ভবন ভাঙ্গার পায়তারা!

২০২০ ফেব্রুয়ারি ১৯ ১৭:৫৯:০১
স্কুলের নতুন ভবন হস্তান্তর না করেই ব্যবহার যোগ্য ভবন ভাঙ্গার পায়তারা!

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা শহরের গোপালপুর প্রভাতী পরিষদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন হস্তান্তর না করেই ব্যবহার উপযোগী পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে পৌর সভার ড্রেনেজ খননের নোংড়া মাটি দিয়ে স্কুলটির মাঠ ভরাটের অভিযোগ উঠেছে।   

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরতলীর ১২৮ নং গোপালপুর প্রভাতী পরিষদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকা মূল্যের দ্বিতল ভবন নির্মাণের কাজ পান পাবনা শহরের পূর্ব সাধুপাড়াস্থ বকুল খন্দকারের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খন্দকার ট্রেডার্স। স্কুলটির ৫ কক্ষ বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। অথচ হস্তান্তরের আগেই স্কুলের তিন কক্ষ বিশিষ্ট ব্যবহার উপযোগী পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

এদিকে অভিভাবকেরা বলছেন, পুরাতন ভবনটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৯২ সালে। এখনও ২০ বছর ব্যবহার উপযোগী। অথচ ঠিকাদারের সাথে সদর উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের কতিপয় উপসহকারী প্রকৌশলী যোগসাজস করে ওই ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার পায়তারা করছেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবেদা আক্তার বলেন, গেল বছরের রমজানে কাজ শুরু হয়েছে। ঠিকাদারের গড়িমসির কারণে স্কুলের নতুন ভবন এখনও বুঝে দেননি। তিনি বলেন, ঠিকাদারের লোকজন রং করছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ চলছে। দরজা এখনো বসানো হয়নি।

আবেদা আক্তার বলেন, স্কুল মাঠে ঠিকাদার মাটি ভরাট করছেন তবে, নিম্নমানের। নতুন ও পুরাতন ভবন মিলে ৮ টি কক্ষ পাওয়া যাবে। আমাদের প্রয়োজনও ৮ টি কক্ষ। এখানে পুরাতন বিল্ডিং ভাঙ্গার প্রশ্নই আসে না। ভবনটি ভাঙ্গার জন্য অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে চাপ আসলেও ভবন ভাঙ্গার পক্ষে আমি নেই।

প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আনিসুজ্জামান দোলন বলেন, স্কুলের ক্লাস স্বল্পতা এবং ভবনটি ব্যবহার উপযোগী। চার মাস আগে এলজিইডি কর্তৃক ভবনটি মেরামত ও সংস্কারের জন্য সাড়ে ৪ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়। এছাড়াও আমি নিজেও অর্ধলক্ষাধিক টাকা দিয়ে ভবনটি মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে। অথচ ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট এসও’র যোগসাযোজে এই ভবন ভাঙ্গার পায়তারা চলছে।

দোলন বলেন, স্কুলটির মাঠ ভরাটের জন্য ঠিকাদার পৌরসভার ড্রেনেজ খননকৃত নোংড়া মাটি নিয়ে ফেলছেন, যা কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ঝুঁকির কারণ।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এসওকে জানানোর পরও তিনি কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) কে এম শফিকুল আজম বাবলা বলেন, কাজটি পেয়েছেন খন্দকার ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কাজ বাস্তবায়ন করছেন পাবনা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মামুন। কাজ সম্পর্কে আরও ভালো তিনি বলতে পারবেন।

ঠিকাদার বকুল খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাজটি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। যারা কিনেছেন তারাই করছেন। ভালো মন্দ তারাই বলতে পারবেন।

(পিএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test