E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাপাসিয়ায় খাল ভরাটে কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা

২০২০ মার্চ ২১ ১৩:৫৩:১৫
কাপাসিয়ায় খাল ভরাটে কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা

সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের খাল ভরাট ও অবৈধ ভাবে দখল করার কারণে শত শত বিঘা জমিতে কচুরিপানা জমে ধান চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ও কৃষি জমিতে অতিরিক্ত পানি থাকার কারণে কৃষকদের ধান চাষে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। শ্রমিকদের অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে পানি ও কচুরিপানা অপসারণ করে জমি চাষে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা।  

সম্প্রতি সরেজমিনে উজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে দেখা যায়, নলি বিলে শত শত বিঘা জমিতে কচুরিপানা জমে আছে। উপর থেকে দেখলে মনে হবে এখানে যেন কচুরিপানা চাষ করা হচ্ছে। বিলটি রাওনাট এলাকা থেকে দূর্গাপুর, ফুলবাড়ীয়া, মাশক, পলাশপুর, চাকৈল গ্রাম হয়ে চাঁদপুরে গ্রামে মিশে গেছে। দক্ষিণ সীমানা ঘেষে বিলটির সাথে একটি খাল মিলিত হয়েছে। খালটি ঘাটকুড়ি বাজার হয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার ভিতর দিয়ে চলে গেছে।

দখলে ও ভরাটে খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে আছে। বিল থেকে কচুরিপানা সরিয়ে ধান চাষ করার জন্য কয়েকজন কৃষকে জমি প্রস্তুত করতে দেখা যায়। কৃষি জমিতে কচুরিপানার বড় বড় স্তুপ গড়ে তুলছে। খরচ অনেক বেশি হওয়ার কারণে ধান চাষ ফলনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে কৃষকরা। এলাকবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের দিকে কালীগঞ্জের তেরমুখ এলাকায় খালে মধ্যে স্লইজগেট নির্মাণ করার ফলে কচুরিপানা বিলে জমাট বেঁধে থাকে।

এছাড়াও খালের দুই পাশ বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল ভরাট করে দখল করার কারণে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। কমে এসেছে খালের প্রস্থ। পলাশপুর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, এতো কচুরিপানা সরিয়ে ধান চাষ করা সম্ভব নয়। শুধু কচুরিপানা সরানোর জন্য একজন শ্রমিককে খাওয়াসহ দৈনিক ৫শ টাকা দিতে হয়। আমার কয়েক বিঘা ধান চাষের কৃষি জমি কচুরিপানার নিচে পড়ে আছে। খাল খনন করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। কৃষকরা ফিরে পাবে তাদের জমি। ৪-৫ বছর ধরে এমন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান ইউপি সদস্য ইসহাগ হোসেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার বসাক বলেন, কচুরিপানার কারণে অনেক কৃষি জমি অনাবাদি রয়েছে। তবে কতটুকো জমি কচুরিপানার দখলে বা কৃষকরা চাষ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ ব্যাপারে কোন তথ্য নেই। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. আমানত হোসেন খানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব দ্রত খাল খনন করা হবে।

(এসকেডি/এসপি/মার্চ ২১, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test