E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাঙ্গাইলে সরকারি অর্থের মজুদ নেই, চালের মজুদ ৯০ মে.টন

২০২০ এপ্রিল ০৫ ১৮:১১:৪৮
টাঙ্গাইলে সরকারি অর্থের মজুদ নেই, চালের মজুদ ৯০ মে.টন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেলা সদরে সরকারি নগদ অর্থের মজুদ শেষ হয়েছে। চালের মজুদ রয়েছে মাত্র ৯০ মে.টন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাস(কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে এ সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবেলায় দরিদ্র অসহায় জনগনের মাঝে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জেলায় ২৪ লাখ নগদ অর্থ(জিআর ক্যাশ) ও ৫০০ মেট্রিকটন জিআর চাল বরাদ্দ দেয়। এরমধ্যে ১০ হাজার ৯২০ পরিবারের মাঝে ১১ লাখ ২৯ হাজার টাকা নগদ অর্থ এবং ১৮ হাজার ১৪৬ পরিবারের মাঝে ১৬৩.৩৬ মে.টন জিআর চাল বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে জেলা সদরে সরকারি নগদ কোন অর্থ মজুদ নেই। তবে ৯০ মে.টন জিআর চাল বিতরণের জন্য মজুদ রয়েছে। এছাড়া জেলার ১২টি উপজেলায় ১২ লাখ ৭১ হাজার নগদ অর্থ(জিআর ক্যাশ) ও ২৭৬.৬৪মে.টন জিআর চাল মজুদ রয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রমতে, প্রায় সাড়ে তিন হাজার বর্গ কিলোমিটারের এ জেলায় ৪০ লাখ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখিত সরকারি সাহায্য খুবই অপ্রতুল। প্রাথমিক পর্যায়ে ন্যূনতম ৬০ লাখ নগদ অর্থ(জিআর ক্যাশ) ও পাঁচ হাজার মে.টন জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। সরকারি হিসেবে প্রতি উপজেলায় এক লাখ টাকা করে নগদ অর্থ মজুদ রয়েছে- বর্তমান কর্মহীন সময়ে যা শুধু অপ্রতুলই নয় হাস্যকরও বটে। সূত্রমতে, জেলা প্রশাসন নগদ অর্থ ও চাল বরাদ্দ পেয়ে সাধারণত জেলার ১২টি উপজেলায় বণ্টন করে দিয়ে থাকে। উপজেলা প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে সরকারের এ মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেয়।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে আমরা প্রায় ২৫ লাখ টাকা ও ৫০০ মে.টন চাল ১২টি উপজেলায় বণ্টন করে দিয়েছি। সরকারের মানবিক সাহায্যের বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আরো দেড় হাজার মে.টন চাল সহ মানবিক সাহায্যের চাহিদা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। যে কোন সময় বরাদ্দ এসে যাবে। তিনি আরো বলেন, দেশে খাদ্যের কোন অভাব নেই- একজন মানুষও এ সঙ্কটকালে না খেয়ে থাকবেনা ইনশাল্লাহ। তিনি সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।

(আরকেপি/এসপি/এপ্রিল ০৫, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test