E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

রংপুরে ১০০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল উদ্বোধন

২০২০ এপ্রিল ১৯ ২৩:০২:৫৭
রংপুরে ১০০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল উদ্বোধন

রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় চালু করা হয়েছে ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল। এই হাসপাতালে রংপুর বিভাগের আট জেলার করোনা আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা সেবা পাবেন। রবিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে এগারোটায় রংপুর সদর হাসপাতাল সংলগ্ন নবনির্মিত শিশু হাসপাতালে নতুন এই আইসোলেশন হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কে.এম তারিকুল ইসলাম।

এ সময় বিভাগীয়স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আমিন আহমেদ খান, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. একেএম নূর-উন-নবী লাইজু, রংপর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায়সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনতলা বিশিষ্ট ১০০ শয্যার নবনির্মিত রংপুর শিশু হাসপাতালটি এখনো শিশু হাসপাতাল হিসেবে উদ্বোধন না হওয়ায় দুর্যোগকালীন এই সময়ে এটিকে ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃডক্ষ।রংপুর শিশু হাসপাতালটি নির্মাণের পর দীর্ঘদিন ধরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু মহামারি করোনা অআক্রান্তিতে এখন এটি ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এই হাসপাতালের তিনতলা বিশিষ্ট ভবনটি রংপুর বিভাগের করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে বর্তমনে ১০টি আইসিইউ বেড এবং চিকিৎসকের জন্য দুটি ও নার্সদের জন্য একটি আবাসিক কোয়ার্টার রয়েছে। ১১ জন চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে এখানে মোট ৬৪ জন সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

দশটি ভেন্টিলেটর সুবিধাসহ সব ধরণের আধুনিক সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে নতুন এই আইসোলেশন হাসপাতালে। প্রথম ধাপে ১০টি আইসিইউ বেড ও ১০টি ভেন্টিলেটর দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে তা পঞ্চাশে উন্নীত করা হবে। হাসপাতালে গ্রীণ জোন, রেড জোনসহ পৃথক পৃথক জোন রাখা হয়েছে।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সাধারণ মানুষ ঘরে থাকতে সরকারি নির্দেশনা না মানায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ সাহসী হতে গিয়ে একটু বেশি সাহসী হয়ে গেছেন। তাদের বারবার ঘরে থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিনরাত যথেষ্ট কষ্ট করছে। কিন্তু কেন যেন মানুষ এটা মানতে চায় না। দেখা যায় এখানে বসে আড্ডা, ওখানে বসে গল্প। এটা করে তারা নিজেও ঝুঁকিতে পড়ছেন, অন্য দশজন মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলছেন।

(এমএস/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test