E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাঙ্গাইলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব 

২০২০ এপ্রিল ২৭ ১৯:০৩:৫২
টাঙ্গাইলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব 

রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের গোসাই জোয়াইর এলাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অবৈধ তিনটি বাংলা ড্রেজার দিয়ে পাশের ঝিনাই নদী থেকে দিনরাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গত ৭ এপ্রিল থেকে জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দাপটে ওই বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।

জানা গেছে, ঘারিন্দা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বারেকের (ইউপি সদস্য) নেতৃত্বে অপর ইউপি সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেন এবং স্থানীয় রফিক, মোশারফ ও রুবেল পাশের ঝিনাই নদীতে পৃথক তিনটি বাংলা ড্রেজার বসিয়ে দিনরাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে। অবৈধ বাংলা ড্রেজারের পাইপ করটিয়া-সুরুজ সহ স্থানীয় কাঁচা রাস্তার উপর দিয়ে নেওয়ায় পিচ(বিটুমিন) উঠে যাচ্ছে। কাঁচা রাস্তা ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঝিনাই নদীর ওই অংশ(বালু উত্তোলনকৃত) গভীর খাদে পরিণত হয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নদীর ওই অংশে ভাঙন সৃষ্টি হয়ে বাড়ি-ঘর ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় আইনজীবী সহকারী মো. ইদ্রিস আলী জানান, ঝিনাই নদীতে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবত উল্লেখিত ব্যক্তিরা বিপুল পরিমাণ বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। ফলে নদীর ওই অংশে ভাঙনের আশঙ্কা প্রবলতর হচ্ছে। জেলায় লকডাউন ঘোষণার পরও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বরাবরই ভুলুণ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ওই চক্রটির ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না; ভেতরে গুমড়ে গুমড়ে চোখের পানি ফেলে। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই তাকে নানাভাবে হয়রানী করা হয়।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারেকের মাধ্যমে উল্লেখিত ব্যক্তিরা উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। তারা ওয়ালটনের খামার বাড়ীতে বালু সরবরাহের সুযোগে নদীতে ড্রেজার বসায়। ওয়ালটনের কাজ শেষের দীর্ঘদিন পরেও নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। উপজেলা প্রশাসনের কেউ কেউ এসে পরিদর্শন করলেও কোনদিনও অবৈধ ড্রেজার বন্ধ হয়নি।

ঘারিন্দা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক(ইউপি সদস্য) জানান, তিনি ড্রেজার ব্যবসার সাথে যুক্ত নন। স্থানীয় ৪-৫জন ব্যক্তি অবৈধ ড্রেজার চালাচ্ছেন। কেউ যদি আমার কথা বলে থাকে তাহলে ভুল বলেছে।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা ছিলনা। এ বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

(আরকেপি/এসপি/এপ্রিল ২৭, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test