E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মহাদেবপুরে আক্রান্ত ব্যক্তির ত্রাণ মাত্র দু’কেজি চাল

২০২০ মে ১৩ ১৬:৫৪:২৪
মহাদেবপুরে আক্রান্ত ব্যক্তির ত্রাণ মাত্র দু’কেজি চাল

মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লকডাউনে থাকা এক ব্যক্তির পরিবারে এক সপ্তাহে ত্রাণ হিসাবে দেয়া হয়েছে মাত্র দু’কেজি চাল, এক কেজি আলু ও আধা কেজি ডাল। এ নিয়ে ওই আক্রান্ত ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার নাম আব্দুল কাদের।

তিনি জানান, ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি রড সিমেন্টের দোকানে কাজ করতেন তিনি। গত ২৭ এপ্রিল তিনি তার বাড়ী মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের ছিলিমপুর আসেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা ২ মে তার নমুনা সংগ্রহ করেন। ৫ মে তার রেজাল্ট পজিটিভ আসে। ৬ মে থেকে তিনি তার শ্বশুড়বাড়ী সদর ইউনিয়নের জোয়ানপুর গ্রামে অবস্থান করছেন। সেখানে তার শ্বশুড়বাড়ী ও চাচা শ্বশুড়ের বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে। দু’বাড়ীর ৫ জনের খাবার নিয়ে বেকায়দায় পড়েন তারা। তিনি অভিযোগ করেন যে, ৩ দিন আগে এলাকার চৌকিদার তাদের জন্য মাত্র দু’কেজি চাল, এক কেজি আলু ও আধা কেজি ডাল দিয়ে গেছেন। এটা ছাড়া প্রশাসনিক কোন সহযোগিতা তারা পাননি।

বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসারের সরকারী মোবাইলফোনে রিং দিলেও তারা রিসিভ করেননি। সদর ইউপি চেয়ারম্যান মুহা: মাহবুবুর রহমান ধলু জানান, তাদেরকে সরকারী কোন ত্রাণ দেয়া হয়নি। চৌকিদার বাবু জানান, ঝলঝলি গ্রামের সমাজ সেবক হাসান আলী স্বেচ্ছায় তাদের জন্য চাল, ডাল, আলু, তেল, সাবান ও কাঁচা বাজার কিনে দিয়েছেন।

এই উপজেলায় আরও একজন আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবার ক্ষেতের পাকা ধান কাটা আর গরুছাগল নিয়ে বিপদে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির নাম মো: সাগর। তিনি জানান, ফরিদপুরের শরিয়তপুরে একটি চায়না কোম্পানীর অধীনে ক্রেন দিয়ে জাহাজ থেকে মালামাল নামানোর কাজ করেন তিনি। সেখানে তার নমুনা টেষ্ট করে নিগেটিভ রেজাল্ট আসে। গত ২৯ এপ্রিল তিনি তার বাড়ী মহাদেবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বকাপুর গ্রামে আসলে স্বাস্থ্যকর্মীরা আবার তার নমুনা সংগ্রহ করেন।

কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ মোবাইলফোনে তাকে ডেকে পাঠালে ২ মে তিনি আবার শরিয়তপুর গিয়ে নিয়মিত কাজে যোগ দেন। ৫ মে সেখানে থেকেই জানতে পারেন যে, তার করোনভাইরাস পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। এজন্য তাদের বাড়ী লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ থেকে প্রশাসনিক কোন সহযোগিতা তারা পাননি। এমনকি প্রশাসনের কেউ তাদের কোনরকম খোঁজ খবরও নেননি। সাংবাদিক হিসাবে তার মোবাইলফোনে রিং দেয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, যাক এতদিন পর তবু নিজের এলাকার কেউ খোঁজ নিল।

তিনি অভিযোগ করেন যে, এলাকার মেম্বারকে বার বার ফোন করে খাবার এবং অন্যান্য সহাযোগিতার কথা বললেও তিনি তার কোন জবাব দেননি। এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার ওই মেম্বার তাদের ১৪ জনের পরিবারের জন্য নগদ মাত্র ৫০০ টাকা দিয়েছেন। তিনি জানান, ক্ষেতে তাদের ধান পেকে ক্ষেতেই ঝরে পড়ছে। এছাড়া বাড়ীর গরুছাগল বাইরে বের করতে না পারায় সেগুলো নিয়ে বিপদে পড়েছেন।

(আরজে/এসপি/মে ১৩, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test