E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল দুর্গন্ধ! 

২০২০ মে ১৩ ১৮:৪৩:২৩
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল দুর্গন্ধ! 

পাবনা প্রতিনিধি : সরকার হতদরিদ্রদের জন্য স্বল্পমূল্যের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী গ্রহণ করলেও বিতরণকৃত চাল দূর্গন্ধ হওয়ায় অনেকেই ওই চালের ভাত খেতে পারছেন না। কেউ কেউ পুকুরের মাছ চাষিদের কাছে বিক্রি করেও দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, চালে মিনারেল ও ভিটামিন মিশ্রণের কারণে চালে দূর্গন্ধ ও পাউডারের মতো আবরণ থাকে। কিন্তু ওই চালের ভাত খাওয়ার অনুপযোগী হওয়ার কথা নয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ৬ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রায় দেখ লাখ মানুষের বসতি। ৩৫ হাজার পরিবারের মধ্যে পৌর এলাকায় ২৪শ’ পরিবারের জন্য তিনজন ওএমএস ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৬ টি ইউনিয়নে ৪৬৪৭ দরিদ্র পরিবারকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজি দওে চাল সরবরাহ করা হয়। প্রত্যেক ইউনিয়নে ২ জন করে ডিলার এই চাল সরবরাহ করছেন। পৌর এলাকায় সরবরাহকৃত চাল খাবার উপযোগী হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ের চাল দুর্গন্ধ ও সাদা পাউডারের আবরণযুক্ত। বছরে মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণ করা হলেও করোনার কারণে মে মাসেও এই চাল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, সরবরাহকৃত মোটা চালে দূর্গন্ধ আর পাউডার ভরপুর। একাধিকবার পানি দিয়ে ধোয়ার পরও দূর্গন্ধ থেকেই যায়। পরিবারের বড় মানুষগুলো কষ্ঠেশিষ্টে এই চালের রান্না করা ভাত খেতে পারলেও শিশু কিশোরদের খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে এই চাল পুকুর মালিকদের কাছে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। আর ওই চার পুকুর মালিকরা কিনে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করছেন।

উপজেলা খাদ্য অফিসের দাবী, চালগুলো দীর্ঘ সময় গোডাউন বন্দি থাকে। কিছুটা গন্ধ হতে পারে। আর কর্মসূচীর চাল ঠিকাদাররা খাদ্যগুদাম থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন প্রকারের ভিটামিন ও মিনারেল মিশ্রণ করে। তারপর সেই চাল ডিলারদের কাছে পৌঁছায়। এতে ভিটামিনের কারণে গন্ধের তীব্রতা হতে পারে। তবে অত্যন্ত পুষ্টিকর চাল হওয়ায় সবাইকে খাওয়ার পরামর্শ দেন তারা।

পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ডিলার আনোয়ার হোসেন বলেন, সুবিধাভোগীরা এমন অভিযোগ করছেন। কিন্তু আমরাতো ঠিকাদারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা চাল বিতরণ করি। আর চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হক বলেন, আমরা সবসময় চাই হতদরিদ্ররা যে চাল পান, সেটা যেন খাবার উপযোগী হয়। কিন্তু যে চাল পাচ্ছেন সেটা দূর্গন্ধ। ভালো মানের চাল বিতরণ করা না হলে আমাকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের কোন ক্ষমতা নেই।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, প্রায় ৯ মাস আগে খাদ্য গুদামে চাল সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। কিছুটা গন্ধ ও পাউডারের আবরণ থাকতে পারে। তবে সামনের কর্মসূচীগুলোতে ভালো চাল সরবরাহ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

আর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আইরিন আফরোজ জানান , খাদ্যগুদামের মজুদকৃত চালে ভিটামিন ও মিনারেল মিশ্রণের কারণে একটু গন্ধ হতে পারে। তবে এটা খুবই পুষ্টিকর চাল। কিন্তু খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালে দুর্গন্ধের ব্যাপারে দু-একজন জানালেও ব্যাপক পরিসরে কেউ অভিযোগ করেনি। তাই বিষয়টি নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়নি।

(এস/এসপি/মে ১৩, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test