E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লিবিয়ায় বাংলাদেশি হত্যা : মাদারীপুরে ৩টি মামলা, নারীসহ গ্রেফতার ২

২০২০ জুন ০১ ১৭:৫৩:১৭
লিবিয়ায় বাংলাদেশি হত্যা : মাদারীপুরে ৩টি মামলা, নারীসহ গ্রেফতার ২

মাদারীপুর প্রতিনিধি : লিবিয়ায় বাংলাদেশীদের হত্যা ও মানব পাচারের ঘটনায় মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি এবং রাজৈর থানায়  ২টি মামলা দায়ের করেছেন ৩ নিহতের পরিবার। ৩ মামলায় ১৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি লিবিয়ায় গুলি করে ২৬ বাংলাদেশি হত্যা করে মানব পাচারকারীরা। এদের মধ্যে অধিকাংশই মাদারীপুরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় লিবিয়ায় নিহত ও মানব পাচারের শিকার মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালি ইউনিয়নের দক্ষিণ দুধখালি গ্রামের মো. শামীম হাওলাদারের বাবা হালিম হাওলাদার বাদী হয়ে রবিবার বিকেলে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে দালাল নজরুল মোল্লার স্ত্রী দিনা বেগমকে। দালাল নজরুল মোল্লা এখন লিবিয়াতে আছেন। এই ঘটনায় রবিবার রাতেই মামলার প্রধান আসামী দিনা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে একই ঘটনায় মাদারীপুরের রাজৈরে লিবিয়ায় নিহত জুয়েলের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে দালাল জুলহাস সরদারসহ ৪ জনের নামে মানব পাচার আইনে মামলা করেছে রাজৈর থানায়।

এছাড়াও রাজৈর থানার বদরপাশা ইউনিয়নের নিহত রহিম খালাসীর ভাই আবু খায়ের খালাসী বাদী হয়ে রাজৈর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলা জুলহাস সরদারসহ ৭ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের নিহত মানিক হাওলাদারের বাবা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, “আমার ছেলে মানিককে লিবিয়ায় নেওয়ার কথা বলে দালাল জুলহাস আমার কাছ থেকে প্রথমে ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে ছেলেকে বেনগাজী আটকে রেখে ভয়েজ রেকর্ডের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা দাবী করে। আমি আমার ছেলেকে আনতে জুলহাসের বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসি।

একই গ্রামের নিহত জুয়েল হাওলাদারের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, আমার ছেলেসহ রাজৈরের বেশ কয়েকজনকে দালাল চক্র লিবিয়া নেওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা চুক্তি করে নিয়ে যায় ৩/৪ মাস আগে। তারপর লিবিয়ার ত্রিপলী না নিয়ে বেনগাজীতে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে। এরপর ভয়েজ রেকর্ডে নির্যাতনের শব্দ পাঠিয়ে আরো ১০ লাখ টাকা দাবী করে। আমরা রাজৈর হোসেনপুরের জুলহাস সরদার নামের ওই দালালের বাড়িতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা দিয়ে আসি।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত জাহান বলেন, মানব পাচারের ঘটনায় রাজৈর থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার। দালাল জুলহাস দুটি মামলারই আসামী। একটি মামলায় ৭ জন ও অপর মামলায় ৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। এদের মধ্যে জুলহাস করোনা পজেটিভ হওয়ায় পুলিশি হেফাজতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি আছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, মানব পাচারের ঘটনায় মাদারীপুর সদর মডেল থানায় ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহত শামীমের বাবা হালিম হাওলাদার। এই মামলার প্রধান আসামী দিনা বেগমকে আমরা রাতে গ্রেফতার করেছি।

(এএস/এসপি/জুন ০১, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test