E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আমাকে ও আমার পরিবারকে রাজনৈতিক-সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচার

২০২০ জুন ০৮ ১৮:২৬:২০
আমাকে ও আমার পরিবারকে রাজনৈতিক-সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচার

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন নাগরপুর উপজেলা শাখার সভাপিত শেখ শামসুল হক সংবাদ সম্মেলন করেছে। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সোমবার সকালে নাগরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাকে ও আমার বড় ভাই অবসর প্রাপ্ত যুগ্ম সচিব শেখ মো.আব্দুল আহাদকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভূয়া ও ষড়যন্ত্রমূলক এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মূলত আমার বড় ভাই শেখ আব্দুল আহাদ শতভাগ সৎ। তাঁর কর্তব্যকালে বিভিন্ন মন্ত্রনালয় সহ সারা উপজেলাবাসী তাঁর নিষ্ঠা ও সততার বিষয়টি অবগত আছেন। আমি রাজনৈতিক ও মানবধিকার কর্মী ছাড়াও আমার নিজ গ্রাম কলিয়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সাধারন সম্পাদক ও কলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি।

সাধারণ মানুষের ভালবাসা ও সম্মান নিয়েই আমাদের পথচলা। আমাদের সম্মান ও ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কথিত সাংবাদিক আমজাদ হোসেন রতন ও তোফাজ্জল হোসেন তুহিন অভিযোগকারী বিশু মিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা সংবাদটি পরিবেশন করেছে। আমজাদ হোসেন রতন সাংবাদিকতার কার্ড দেখিয়ে মূলত চাদাবাজি করাই তার মূল উদ্দেশ্য। ইতিপূর্বে এক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ভূয়া সংবাদ প্রকাশ করে নাগরপুর থানার ওসির কক্ষে মুক্তিযোদ্ধার পা ধরে ক্ষমা চেয়ে চাঁদাবাজির মামলা থেকে রেহাই পান যার প্রমান ভিডিও ফুটেজে রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বর্তমান করোনা সংকটের মধ্যেও ত্রাণ বিতরণের সময় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের কাছেও চাঁদা দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মালা বেগম বলেন, প্রায় ১৭ বছর আগে আমার পালক পিতা শেখ মো.আব্দুল আহাদ আমাকে কলিয়া গ্রামের বিশু মিয়ার ছেলে কামরুলের সাথে বিয়ে দেন। সে সময় আমার শ্বশুরবাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ নাজুক ছিল। সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে আমার চাচা শ্বশুর আব্দুল জলিল ও আমার পিতার নিকট থেকে টাকা নিয়ে স্বামীকে বিদেশ পাঠাই। অথচ আমার শ্বশুর বিশু মিয়া সংবাদে উল্লেখ করেছেন ঘোড়া ও ঘোড়ার গাড়ি বিক্রি করে আমার স্বামীকে বিদেশ পাঠায় যা সত্য নয়। মূলত ঘোড়া ও ঘোড়ার গাড়ি আমার চাচা শ্বশুর আব্দুল জলিলের।

সংবাদে আরও বলা হয়েছে আমার স্বামী কামরুল ১২ বছরে বিদেশ থেকে আমাকে ১১ লক্ষ টাকা দিয়েছে। সে টাকা আমার পালিত পিতার ছোট ভাই শেখ শামসুল ইসলামকে দিয়েছি। বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বরং বিদেশ থেকে প্রেরিত অর্থ দিয়ে আমার শ্বশুর জমি জমা ক্রয় ও একটি গরুর ফার্ম করেছেন।

লিখিত অভিযোগে মালা বেগম আরো জানান, আমার স্বামী অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে। মূলত তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে স্বীকৃতি দিতে আমার শ্বশুর ও আমার স্বামী আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন এবং আমার পালিত পিতা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও ৭ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো.খালিদ হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য মো.হাবিবুর রহমান, সিপিবি নাগরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি খোরশেদুন্নাহার ভূইয়া, বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন নাগরপুর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মো.শহিদুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.মুক্তার হোসেন, কলিয়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মো.হারুন খান প্রমূখ।

(আরএস/এসপি/জুন ০৮, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test