E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধামইরহাট স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

২০১৪ আগস্ট ১২ ১৭:০০:৫৮
ধামইরহাট স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও জনবল স্বল্পতা নিয়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। দায়িত্ব ও কর্তব্যে চরম অবহেলার কারনে জনগুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি  নিয়ে এক রকম  ছিনিমিনি খেলা চালাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

ওই হাসপাতালের সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে রয়েছে দায়িত্বে অবহেলা করার বিস্তর অভিযোগ। বারংবার হাসপাতালে চুরি, ডাক্তার বিহীন চেম্বার, নোংরা পরিবেশ, রোগিদের নিম্নমানের খাবার, বিছানা পত্রের অব্যবস্থাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। রোগীরা বঞ্ছিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা থেকে।
অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালে রোগীদের মাঝে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা দেখেও দেখেন না। হাসপাতালে ভর্তি রোগির সংখ্যা কম থাকলে ফুটপাতের কতিপয় লোককে ভর্তি দেখিয়ে খাদ্য তালিকা প্রনয়ন করা হয়। সময়মত খাবার দেয়া হয় না। ক্ষুদ্র ডিম, ক্ষুদ্র মাছ, ছোট কলা, ছোট পাউরুটি, ছোট আলু দেয়া হয়। এ খাদ্য আবার ডাক্তার নার্স, কর্মচারীদের বাসাতেও যায় বলে সূত্র জানায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ধামইরহাট হাসপাতালে ডা. মোহাম্মদ আলী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে তার দূর্বলতার সুযোগে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি ওষুধ বিক্রি, রোগিদের কাছ থেকে টাকা আদায়, জখমি রোগিদের টাকার বিনিময়ে ইচ্ছে মতো মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিয়ে অবৈধভাবে আয় করছে তারা। ডাক্তাররা প্রাইভেট চিকিৎসায় অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকলেও প্রাইভেটের রোগীরাও হাসপাতালে এসে ওই ডাক্তারের কাছে ভিড় জমায়। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা, সাজেদুর রহমান ১৫ বছর ধরে একই হাসপাতালে চাকুরি করে আসছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক কর্মচারী জানান, টিএইচএ্যান্ডএফপিও’র দূর্বলতার কারনে একই হাসপাতালে যুগ যুগ ধরে স্থানীয় কর্মকর্তা কর্মচারী, নার্স চাকুরিতে বহাল থাকার জন্য বারবার অনিয়মগুলো ঘটেই চলেছে। হাসপাতালের এম্বুলেন্স বিকল হয়ে মাঠে পড়ে রয়েছে। রেফার্ড করা রোগিদের দুর্ভোগের সীমা থাকেনা।
এদিকে প্রতিবছর মাঝেমধ্যেই হাসপাতালে ওষুধ চুরি যায়। কর্মকর্তা-কর্মচারী ওষুধ চুরি করতে ধরা পড়ে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তাদের বিভাগীয় শাস্তি হয় না। উল্লেখ্য, গত ঈদুল ফিতরের পরদিন (বুধবার) রাত ১০টায় হাসপাতালের কন্ট্রোল রুম থেকে ইসিজি মেশিন,ও আলট্রাসনোগ্রাফী মেশিন চুরি যায়। পরদিন পুলিশ ফার্শিপাড়া জঙ্গল থেকে মেশিন দুটি উদ্ধার করে । কিন্তু এসব চুরির ব্যাপারে কারো বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
(বিএম/এএস/আগস্ট ১২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test