E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গাইবান্ধায় করোনা আতঙ্কের মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু মশার শঙ্কা

২০২০ জুন ১৭ ১৩:৪৮:৩১
গাইবান্ধায় করোনা আতঙ্কের মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু মশার শঙ্কা

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় দিনকে দিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে মশার উপদ্রব। দিনরাত মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষ। এতে করোনার সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়েও শঙ্কা বাড়ছে জনমনে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কে সন্ত্রস্ত মানুষের সামনে নতুন ভীতির নাম ডেঙ্গু। দিনরাত মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ গাইবান্ধা সদরসহ ছয় উপজেলাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে মশার ওষুধ না ছিটানো এবং নালা-নর্দমা পরিষ্কার না করায় দিন দিন মশার উপদ্রব বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে মশার কামড়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মহামারী আকার ধারণ করতে পারে বলছেন পৌরবাসী। আর ডেঙ্গু প্রতিরোধে পৌরসভার নানা উদ্যোগের কথা জানালেন পৌর মেয়র।

করোনা মোকাবেলায় রাস্তাঘাটে পৌরসভার পক্ষ থেকে ছিটানো হচ্ছে জীবানুনাশক। ব্যবস্থা করা হয়েছে হাত ধোয়ার। অদৃশ্য এই শত্রুর সাথে লড়াইয়ের ঠিক চরম মুহুর্তে ভীতির নতুন উপসর্গ হয়ে সামনে দাঁড়িয়েছে মশার উপদ্রব। দৃশ্যমান এই শত্রুর অত্যাচারে ঘরে থাকা দায়। পাশাপাশি মানুষের অসচেতনতা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে করোনার সাথে ডেঙ্গু আতংক বাড়তে শুরু করেছে।

বর্ষার আগ মুহুর্তে অন্যান্যবার মশা নিধনে উদ্যোগ থাকলেও এবার তা নেই। এভাবে চলতে থাকলে মশার কামড়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মহামারী আকার ধারণ করতে পারে। তাই শিগগিরই মশা নিধনের কার্যকরী ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম বেগবান করা জরুরি বলে মনে করছেন জেলার বিশিষ্টজনরা। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, গত বছর জেলায় প্রায় ২শ’ ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়।

জেলা শহরের শনিমন্দির রোডের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, দিনে-রাতে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। দিনের বেলাতেও মশার কামড়ের ভয়ে কয়েল জ্বালিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। মশক নিধন কার্যক্রম এখুনি শুরু করা দরকার বলে জানান তিনি।

গৃহিনীন আলেয়া বেগম নামে আরো একজন জানান, মশার যে উপদ্রব বেড়েছে তা কি ধরনের মশা তা আমরা সাধারণ মানুষ কিভাবে বুঝবো? এখন যে মশা কামড়াচ্ছে তা কি এডিস মশা কি না জানি না। আমার বাসায় শিশু সন্তান আছে, তাকে মশা থেকে বাঁচাতে যতক্ষণ সম্ভব মশারি টানিয়ে রাখা হয়।

পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরবাসীকে সচেতন হয়ে বাড়িঘরে ডেঙ্গুর জীবানুবাহী এডিস মশার উৎপত্তিস্থল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার আহবান জানিয়ে পৌরসভার নানা উদ্যোগের কথা জানালেন পৌর মেয়র এ্যাড. শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন। তিনি বলেন, ড্রেন নালা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে। মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এবছর যেন ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা না দেয় সেজন্য এডিস মশার লার্ভা বিনষ্টকারী ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।

গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, গত বছরের অভিজ্ঞতায় বর্ষা মৌসুম শুরুর এ সময় গাইবান্ধাতে আমরা কিছু ডেঙ্গু রোগী পেয়েছিলাম। এ বছরও আমাদের প্রস্ততি রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যে কিট পাঠানো হয়েছে তা জেলা উপজেলা হাসপাতালে সংরক্ষিত আছে। এছাড়া ডেঙ্গু রোগীর পরিক্ষা-নিরীক্ষার সকল প্রস্ততি ইতিমধ্যে নিয়েছি। এক কথায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ এখন সম্পূর্ণ তৈরী বলে দাবী সিভিল সার্জনের। তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু ঠেকাতে সবার আগে সাধারণ মানুষকে নিজেকে সচেতন হতে হবে। তাদের বাড়ি-ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

(এস/এসপি/জুন ১৭, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test