E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অভাবের তাড়নায় পুত্র সন্তান বিক্রি, নার্স আটক 

২০২০ জুন ২৯ ১৭:৩২:৪১
অভাবের তাড়নায় পুত্র সন্তান বিক্রি, নার্স আটক 

দীপক চন্দ্র পাল (ধামরাই) : ধামরাইয়ে অভাবের তাড়নায় নাজমার পুত্র সন্তান বিক্রির ঘটনায় সাদিয় নামের এক নার্সকে আটক করেছে পুলিশ। ভিকটিম উদ্ধার, শিশু উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত।

বুধবার ধামরাই ভাটার খোলা আশ্রয়ন প্রকল্পের জাহাঙ্গীরের ভাড়াটে নাজমা আক্তার প্রসব ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হয় ধামরাই রাবেয়া মেমোরিয়াল হাসপাতালের ২০২ নং ওর্য়াডে। রাতেই ওর্য়াডের পাশে অপারেশন থিয়েটারে নাজমার সিজারের মাধ্যমে এক ফুটফুটে পুত্র সন্তান জন্ম দেন। নাজমার আরো দুই সন্তান আছে। এ ঘটনায় ওই হাসপাতালে নার্স সাদিয়াকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করে আনেন পুলিশ।

শুক্রবার এই রোগীকে রিলিজ করিয়ে মেডকেল এ্যাসিসষ্ঠান্ট মোঃ রিয়াজ নামের ওই ষ্টাফ সহ কয়েকজনে মিলে নাজমার নব জাতকটিকে ৬০ হজার টাকায় বিক্রি করে নাজমাকে টাকা দিয়ে মেডিকেল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এদিকে নাজমা অসুস্থ্যতা আরো বেড়ে যায়।

অভিযোগ উঠেছে শিশু বিক্রি করা হয় দুই লাখ টাকায়। রিয়াজ এই টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দেয় বলে অভিযোগ।
এ ঘটনা

এ ঘটনা শনিবার ফাস হলে এলাকায় তোলপার শ্রুরু হয়। এ সংবাদ পুলিশ জেনে রবিবার দুপুরে অসুস্থ্য নাজমাকে উদ্ধার করে থানায় এনে তার চিকিৎসার জন্য ধামরাই সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। পুলিশ ওই শিশু কি উদ্ধারে এখন তৎপর।

ধামরাই রাবেয়া মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও কলেজের কেউ মুখ খুলছেনা কার কাছে শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছে। আটক কৃত সাদিয়া সাথে ছিলো এর পরও সে টাকার কথা স্বীকার করলেও কে নিয়েছে শিশু তা বলেন নি।

তবে নাজমা জানিয়েছেন সাভারের এক হুজুর ও অপর এক জন এসে তার বাচ্চাটি নিয়ে যাবার সময় তাকে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে। রিয়াজ কত টাকায় বিক্রি করেছে তা তিনি বলতে পারেননি।

নাজমা জানায়, তার স্বামী তিন মাস আগে মৃত্যু বরন করেছেন। অসহায় এই নাজমার আরো দুই সন্তান আছে বলেও জানায়।

আটককৃত নার্স সাদিয়া বলেন, রিয়াজ জানে সব। তিনি দুই লাথ টাকা বিক্রির কথাও জানেন না বলেন। সাদিয়া বলেন ৬৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে নাজসাকে।

ধামরাই রাবেয়া মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডাঃ জসিম উদ্দিন বলেন এব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না । রবিবার দপুরের ধামরাই থানার ওসি তদন্ত মোঃ কামাল হোসেন হাসপাতালে এসে তদন্ত কালে তিনি জানতে পারেন শিশু বিক্রির এঘটনা।তিনি বলেন শিশু বিক্রি অবৈধ । দেশে আইন আছে সব কিছু আইন মোতাবেক হওয়া উচিৎ। তিনি নিজেই বলেন এঘটনায় মেডিকেল এ্যাসিষ্ঠ্যান্ট মোঃ রিয়াজ এর সাথে জড়িত সে এখন হাসপাতালে নেই বলেন।

(ডিসিপি/এসপি/জুন ২৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test