E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মির্জাপুরে সুদের টাকার জন্য দোকান দখলের অভিযোগ!

২০২০ জুলাই ০৪ ১৭:৪৭:৪৯
মির্জাপুরে সুদের টাকার জন্য দোকান দখলের অভিযোগ!

রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নে সুদের টাকা না পেয়ে মুদির দোকান দখল করে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। লতিফপুর বাজারের মুদির দোকানদার মো. নুরুল ইসলাম এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর প্রফেসর পাড়ার মৃত মরতুজ আলীর ছেলে মো. নুরুল ইসলাম(৪৪) লতিফপুর বাজারে দীর্ঘদিন যাবত মুদির দোকান পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন।

স্থানীয় কয়েদ আলীর ছেলে মো. জামিল মিয়া(৫৫), তার ভাই ইয়াছিন(৫০), সিফার উদ্দিনের ছেলে মো. আলা উদ্দিন(৪৫), তার ভাই আহসান মিয়া(৪০), মৃত আজগর আলীর ছেলে মো. কুদ্দুছ ফকির(৫৫) দীর্ঘদিন যাবত নুরুল ইসলামের মুদির দোকান দখলে নেয়ার পায়তারা করায় তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে গত ৫ জুন উল্লেখিত ব্যক্তিরা দোকানের তালা ভেঙে দখলে নেয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করতে ব্যর্থ হয়ে নুরুল ইসলাম গত ২০ জুন(শনিবার) মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মো. নুরুল ইসলাম জানান, বিগত ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে নন-জুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্পে নাম-স্বাক্ষর করে একই এলাকার কয়েদ আলীর ছেলে মো. জামিল মিয়ার(৫৫) কাছ থেকে প্রতিমাসে লভ্যাংশের ১০ হাজার টাকা সুদ হিসেবে দেয়ার শর্তে তিনি দুই লাখ টাকা নেন। ওই টাকা নেয়ার পর থেকে প্রতিমাসে নুরুল ইসলাম নিয়মিত সুদের লভ্যাংশের ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সুদের লভ্যাংশের ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায় তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। মামলার সময় মো. জামিল মিয়া দুই লাখ টাকা দেয়ার সময় জামানত হিসেবে রাখা নুরুল ইসলামের নাম-স্বাক্ষর করা নন-জুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্পে ‘টাকা দিতে ব্যর্থ হলে দোকানের দখল বুঝে নেয়ার’ শর্ত জুড়ে দিয়ে ইচ্ছেমতো স্ট্যাম্পে লিখে নেয়।

অভিযুক্ত মো. জামিল মিয়া জানান, তিনি সুদের ব্যবসা করেন না। নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দোকান জামানত রেখে নুরুল ইসলাম তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার(কর্জ) নেয়। মো. নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিনেও ধার নেয়া টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তিনি স্থানীয় মাতব্বরদের সাথে পরামর্শ করেন। পরে স্ট্যাম্পের শর্ত অনুযায়ী স্থানীয় মাতব্বরদের পরামর্শে দোকানের দখল বুঝে নেন। এ বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশও হয়েছে বলে তিনি জানান।

লতিফপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন জানান, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি করে মো. নুরুল ইসলাম স্থানীয় জামিল মিয়ার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেয়। পরে স্থানীয় মাতব্বরা সালিশের মাধ্যমে দোকানটি মো. জামিল মিয়াকে বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু পরে আবার মো. নুরুল ইসলাম ওই দোকান তার বলে দাবি করছে।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. সায়েদুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে দোকান নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি জানতে পারেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন।

(আরকেপি/এসপি/জুলাই ০৪, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test