E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, কঠোর কর্মসূচির আল্টিমেটাম

২০২০ জুলাই ০৮ ১৭:০৬:৪৯
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, কঠোর কর্মসূচির আল্টিমেটাম

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকেঃ বকেয়া বেতন,উৎসব ভাতা প্রদান এবং শ্রমিকদের কর্মসংস্থানে যোগদানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবীতে আজ বুধবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসীচী পালন করেছে,দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি’র সহস্রাধিক শ্রমিক-কর্মচারী। আগামী ১২ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের দাবী পূরণ না হলে তারা স্ব-পরিবার নিয়ে ১৩ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের আন্দোলন কর্মসূচীতে যাবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছে খনি কর্তৃপক্ষকে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি’র প্রধান ফটকের সামনে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দু’ঘন্টাব্যাপি অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম ররি, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রতন সহ অন্যরা।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি সিএমসি জেএসএমই’র অধীনে খনির অভ্যন্তরে কাজ করে আসছেন ১১৪৭ জন বাংলাদেশী শ্রমিক। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশী শ্রমিকদের খনির ভেতরে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারী করে শুধুমাত্র চীনা শ্রমিকদের নিয়ে স্বল্প পরিসরে খনির কার্যক্রম চালু রাখেন কর্তপক্ষ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করোনাকালীণ সময়ে যথাসময়ে শ্রমিকদের বেতন ভাতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছুটিতে পাঠান।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র মার্চ মাসের ২৬ দিনের বেতন ও ঈদ বোনাস দিয়েছেন শ্রমিকদের। এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে কাজ না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন শ্রমিকরা। তাই অনতি বিলম্বে আগামী ১২ জুলাই’র মধ্যে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি দফা মেনে না নিলে ১৩ জুলাই থেকে খনির প্রধান ফটকের সামনে পরিবার পরিজন নিয়ে অবস্থান সামনে অনিদিষ্টকালে লাগাতার কর্মসূচির আল্টিমেটাম দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামরুজ্জামান খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক শাহ্ আলম শাহী’কে জানান, করোনার কারণে শ্রমিকদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছিলো। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি সিএমসি জেএসএমই’র সাথে আমাদের কথা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদেও (তাদের) কাজে যোগদানের মাধ্যমে তাদের বকেয়া পাওনাদি প্রদান করবেন বলে উল্লেখ করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরাও চাই, বিষয়টি সুষ্টু সমাধান হোক।

(এস/এসপি/জুলাই ০৮, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test