E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাগরপুরে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান

২০২০ জুলাই ১৯ ১৭:৪২:১৪
নাগরপুরে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে যমুনা নদীর পানি কমলেও বাড়ছে ধলেশ্বরী নদীর পানি। এতে বানভাসীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। ঘর-বাড়ি, রাস্তা- ঘাট, হাট- বাজারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্যার পানি তলিয়ে থাকায় বিপাকে পড়েছে উপজেলার লক্ষাধিক পানিবন্দি মানুষ। উপজেলা প্রশাসন পানিবন্দিদের দূর্ভোগ কমাতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।

রবিবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাবনাপাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বানভাসীদের। বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে কয়েকটি পরিবার। সেখানে আশ্রিত ২২ টি পরিবারের মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানান, বর্তমান সময়ে যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ উপজেলা প্রশাসনের কাছে মজুদ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে বন্যা কবলিত ত্রাণেরযোগ্য সকলকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে বন্যার পানিতে রাস্তা ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে চাষিরা।

বন্যা দূর্গত এলাকার বাসিন্দা আব্দুল করিম জানান, বন্যার জন্য তাদের আয় উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এক বেলা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে তাদের। তাই তারা সরকারি সহায়তার কামনা করেন। একই এলাকার বাসিন্দা সেলিম আব্বাস জানান, তারা যে পরিমাণ সরকারি সহায়তা পেয়েছে। এটা দিয়ে কয়েক বেলা চলবে তাদের। তাই তারা ত্রাণের পরিমাণ আরো বৃদ্ধির দাবি জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই দফা বন্যায় নাকাল হয়ে পড়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। এসব মানুষের মাঝে খাবার, গো-খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও নি¤œআয়ের মানুষরা। এসব পরিবারের অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন কর্মহীন হয়ে থাকায় অর্থের অভাবে খাবার সংগ্রহ করতে না পারায় এক বেলা খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।

ত্রাণ বিতরনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত সারা উপজেলায় ১৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে তাদেরকে তিনি দ্রুত নিকস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠার আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন, বন্যার্তদের মাঝে আমাদের ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পর্যায়ক্রমে আরো ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।

(আরৎএস/এসপি/জুলাই ১৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test