E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা : দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

২০২০ আগস্ট ০৩ ১৭:৩২:২২
সাতক্ষীরায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা : দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা শহরতলীর বাঁকাল খেয়াঘাট জেলেপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও চারজনকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। 

সোমবার দুপুর ১২টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের সামনে আশাশুনি সাতক্ষীরা সড়কে এ কর্মসুচি পালিত হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি প্রাণনাথ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানবন্ধন কর্মসুচিতে বক্তব্য দেন জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব রণজিৎ ঘোষ, জেলা যুব মহাজোটের সভাপতি সন্দীপ বর্মণ, যুব ঐক্য পরিষদের সদস্য মিলন রায়, মিঠুন ব্যাণার্জী প্রমুখ।

কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই শহরের দক্ষিণ কাটিয়ার সানাউল্লাহ গাজীর ছেলে মুজিবর পেশকার পুলিন মাখালের কাছ থেকে ২০০৫ সালে ১৫ শতক জমি পাঁচ লাখ টাকায় মৌখিক ভাব্ েকিনেছেন দাবি করে তার ছেলে শুভ,স্থানীয় রমিজ ড্রাইভার, তার ছেলে আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজন চলতি বছরের ৮ জুন রাতে তাদের পাড়ায় এসে রাতের মধ্যে হিন্দুদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে যায়। তা না হলে যুবলীগ নেতা মান্নানের সহায়তায় তাদেরকে দেশছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয়।

একপর্যায়ে ৯ জুন সকালে ওইসব হুমকিদাতাসহ কয়েকজন সুকুমার বিশ্বাসসহ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। বাধা দেওয়ায় জয়দেব মাখাল, সহাদেব মাখাল, বিশ্বজিৎ মাখাল, শ্যামলী বিশ্বাস ও সরজিত কাজীকে পিটিয়ে জখম করে। তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় সুকুমার বিশ্বাস গত ৯ জুন বাদি হয়ে মুজিবর ড্রাইভারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিলে ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান মামলা না নিয়ে মীমাংসার নামে নানাভাবে কালক্ষেপন করেন। আসামীপক্ষ যুবলীগ নেতা মান্নানের কাছের লোক বিধায় দেড় মাসের পুলিশ কোন মামলা নেয়নি।

বক্তারা আরো বলেন,,যুবলীগ নেতা মান্নানের নেতৃত্বে ৩০/৪০জন ৩০ জুলাই সন্ধ্যার পর তার বাড়ি ও পূর্ণিমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। ভাঙচুর ও লুটপাটে বাধা দেওয়ায় তাকে, তার স্ত্রী অহল্যা, সহদেব মাখাল ও বলরাম মাখালকে পিটিয়ে জখম করা হয়। হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের পর তারা ঝাঁটা মিছিল নিয়ে সড়ক অবরোধ করলে মুজিবর ও তার ছেলেকে পুলিশ আটক করলেও আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় ছেড়ে দিয়ে শুক্রবার সকালে থানায় আলোচনায় বসার কথা বলেন। অথচ শুক্রবার হামলাকারিপক্ষ থানায় আসেনি।

এ ঘটনায় বৃহষ্পতিবার রাতে নিরঞ্জন মাখাল বাদি হয়ে যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নানসহ পাঁচজনের নাম ও অজ্ঞাতনামা ১৬জনকে আসামী করে এজাহার দিলেও পহেলা আগষ্ট পুলিশ মামলা(২নং) রেকর্ড করে সোমবার পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ফলে আসামীরা বাদি ও সাক্ষীদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে।

বক্তারা আব্দুল মান্নানের জেলা ব্যাপি চাঁদাবাজি, টেণ্ডারবাজি, অন্যের জমি দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে দূর্ণীতির কারণে দু’বার দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর তিনি কিভাবে আবার ওই পদ ফিরে পান তা নিয়ে দলীয় সভানেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

(আরকে/এসপি/আগস্ট ০৩, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test