E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে বাবুর্চির স্থাপনা

২০২০ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৮:৫৯:১৮
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে বাবুর্চির স্থাপনা

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কমপ্লেক্স এরিয়ায় জমি দখল করে পাকা টিনশেড ঘর তুলে প্রায় এক বছর ধরে বসবাস করছেন ওই হাসপাতালের বাবুর্চি মো. কিরণ আলী। চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি’র সভাপতি থাকাকালীন সময়ে ওই বাবুর্চি হাসপাতালের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ব্যক্তিগত খরচে ঘর নির্মাণসহ সমিতির অফিসও নির্মাণ করেছেন। হাসপাতাল এরিয়ায় বিনা অনুমতিতে স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং দ্রুত স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিলেও বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন ওই বাবুর্চি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ভেতরে হরিজন কলোনির সাথে একটি পুরনো কলোনির সাথে সংযুক্ত করে পাকা টিনশেড ঘর তুলেছেন চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি’র সাবেক সভাপতি হাসপাতালের বাবুর্চি মো. কিরণ আলী। এই ঘরে রয়েছে ৫টি কক্ষ। দুটো শোবার কক্ষ, একটি করোনা রোগিদের জন্য খাবার মজুদের কক্ষ, একটি রান্নার কক্ষ ও একটি বসার কক্ষ। এই টিনশেড ঘরে পরিবার নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে তিনি বসবাস করছেন। অবৈধ এ স্থাপনা নিয়ে তাকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকারি জমিতে এরকম স্থাপনা অবৈধ স্বীকার করেও কিরণ আলী স্থানীয় প্রভাবশালীদের জোরে রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তেই।

এ বিষয়ে মো. কিরণ আলী বলেন, আমি আগে যে ঘরে থাকতাম সেটার ছাদ চুইয়ে পানি পড়ত। ছাদের পলেস্তরা খসে খসে পড়ত। হাসপাতালের সাবেক সহকারী পরিচালক ডা. সিরাজুল ইসলামকে মৌখিকভাবে বলে এখানে স্থাপনা নির্মাণ করি। বর্তমান সহকারী পরিচালক ডা. মুহা. মাহফুজুর রহমান আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। আমি নোটিশের জবাব দিয়েছি। সরকারি জমিতে এই স্থাপনা অবৈধ স্বীকার করে তিনি বলেন, হাসপাতালের প্রয়োজন হলে আমি স্থাপনা সরিয়ে নেবো। শুধু আমি একা নই, এরকম আরও ১০/১২ জন আছেন যারা অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে এখানে রয়েছেন।

সহকারী পরিচালক ডা. মুহা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ১৮ জুলাই হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের প্রতিবেদন পেয়ে পরিদর্শন করে দেখি, ওই বাবুর্চি হাসপাতালের সরকারি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। স্থাপনা সরানোর জন্য তাকে তিনবার নোটিশ দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ নোটিশ দেওয়া হয়েছে ৩১ আগস্ট। ওই বাবুর্চি ১ম কৈফিয়তের জবাব দিলেও ২য় কৈফিয়তের কোনো জবাব দেননি।

তিনি আরও জানান, অবৈধ এ স্থাপনা দ্রুত সময়ের মধ্যে না সরানো হলে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হাসপাতাল কমপ্লেক্স এরিয়ায় কিরণ আলীর মতো আরও ১০/১২ জন অবৈধ বসবাসকারীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আমার জানা নেই।

(আরআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test