E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিশু শান্তাকে হত্যার পর ধর্ষণ করা হয়

২০২০ সেপ্টেম্বর ১২ ১৮:৫৭:২৩
শিশু শান্তাকে হত্যার পর ধর্ষণ করা হয়

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ বছরের এক শিশুকে হত্যার পর ধর্ষণ করেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার একমাত্র আসামি মাজেদুর রহমান(২৫)। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকার তার এ জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। জবানবন্দি দেয়ার পর মাজেদুরকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের চৌধুরী মালঞ্চ মিরপুর মধ্যপাড়া গ্রামে শিশুটির বাড়ির কাছ থেকে লাশ উদ্ধারের পর ওই গ্রামের চারজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছেলে মাজেদুর রহমান শিশু শান্তাকে হত্যার পর ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। পরে তিনি আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন।

জবানবন্দিতে কাঠমিস্ত্রি মাজেদুর রহমান জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বিকালে তার লেবু ক্ষেতের কাছে যায় শিশু শান্তা। তখন ধর্ষণের উদ্দেশ্যে মাজেদুর ১০ বছরের শিশু শান্তাকে গলায় পেঁচানো ওড়না ধরে টান দেন। শান্তা চিৎকার করার চেষ্টা করলে তিনি ওড়না দিয়ে চেপে ধরেন। এক পর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়লে শান্তাকে মাজেদুর ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। নিহত ওই শিশু স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

প্রকাশ, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়র চৌধুরী মালঞ্চ মিরপুর মধ্যপাড়া গ্রামের সাদেক আলীর মেয়ে শান্তা (১০) বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) নিখোঁজ হন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত আটটার দিকে তার মরদেহ বাড়ির পাশে একটি কচুঁ ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। নিহত শান্তার ভাই সানি আলম বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।

(আরকেপি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test