E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাঙ্গাইলে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট

২০২০ অক্টোবর ১৩ ১৪:১৪:৩৮
টাঙ্গাইলে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদীপশুর প্রধান খাদ্য খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারী ও প্রান্তিক গরুর মালিকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে গরু কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। 

সরেজমিনে টাঙ্গাইলের যুগনী ও তোরাপগঞ্জ, কালিহাতীর এলেঙ্গা ও সয়া, ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী সহ বিভিন্ন হাটে দেখা গেছে, প্রতি আটি(ছোট) উন্নতমানের খড়ের দাম ১৬-১৮ দরে বিক্রি করা হচ্ছে। লোকাল মোটা এক বোঝা(বড়) খড় দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে এক কেজি খড়ের দাম গড়ে ৩০ টাকা পড়ছে। হাটগুলোতে দিনাজপুর ও নওগাঁ অঞ্চলের খড়ের চাহিদা বেশি। বিক্রেতারা জানান, মোকাম থেকে বেশি দামে কিনতে হয় বলে খড়ের দাম বেশি।

গোবিন্দাসী হাটে খড় কিনতে আসা চরাঞ্চলের খয়বর আলী, নুরুল ইসলাম, যুগনী হটে আসা কালাম, আব্দুর রাজ্জাক, তোরাপগঞ্জ হাটে আসা নাজমুল হুদা, মালেক মিয়া, সয়া হাটে আসা কামরুল, রাজিব সহ অনেকেই জানান, বন্যায় টাঙ্গাইলের ১১টি উপজেলা প্লাবিত হয়। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় কাঁচা ঘাস মরে যায়, খড়ও নষ্ট হয়ে যায়। এতে গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দেয়। গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে গবাদীপশু কম দামে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

খড় কিনতে আসা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আব্দুর রহমান জানান, আগে খড় দুইশ’ টাকা দিয়ে একশ’ আটি খড় কেনা যেত। এখন দেড় হাজার থেকে ১৭শ’ টাকা দিয়ে একশ’ আটি খড় কিনতে হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা একশ’ আটি খড় ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

গোবিন্দাসী হাটের খড় বিক্রেতা ঈমান আলী জানান, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে সব জায়গায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। দিনাজপুর ও নওগাঁ থেকে খড় কিনে এনে এখানে তারা টাঙ্গাইলের বিভিন্ন হাটে বিক্রি করে থাকেন। মোকামে খড়ের দাম বেশি থাকায় তারাও সে অনুপাতে বিক্রি করছেন। তিনি আরও জানান, নতুন খড় না আসা পর্যন্ত এই সংকট আরও বাড়বে।

টাঙ্গাইল জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা ও বৃষ্টির কারণে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে জেলার খামারী ও প্রান্তিক গরু লঅলন-পালনকারীদের নানা ধরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। রাস্তার পাশে বা ফাঁকা জায়গায় ঘাসের কাটিং লাগানো ও সংকটময় সময়ে গরুকে গমের ভুষি খাওয়াতে বলা হচ্ছে।

(আরকেপি/এসপি/অক্টোবর ১৩, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test