E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বসন্তপুরে ফসলী জমিতে ইট ভাটা তৈরিতে উৎপাদন ব্যাহত 

২০২০ অক্টোবর ১৮ ১৩:২৪:১১
বসন্তপুরে ফসলী জমিতে ইট ভাটা তৈরিতে উৎপাদন ব্যাহত 

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ী সদর উপ‌জেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের ধুলদী জয়পুর গ্রামে তিন ফসলী জমি ও লোকালয়ে নতুন ইট ভাটা তৈরী করছে এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন লোক।

বর্তমানে নতুন এই ভাটা তৈরীরি চার পাশে রয়েছে পরিপক্ক অবস্থায় থাকা কয়েক বিঘা ধান ক্ষেত, লেবুর বাগান, কলা ও পেঁপের বাগান সহ মুরগীর ফার্ম ও অর্ধশত মানুষের বসতি। রয়েছে প্রায় ৫০ বিঘার বেশি ৩ ফসলী জমি। এই ইট ভাটাটি তৈরী হলে এলাকার সাধারন মানুষের বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন ব্যাহত, বসবাস এবং চলাচল বন্ধ হওয়ায় উপক্রম দেখা দিবে সেই সাথে দেখা দিবে নানা সমস্যা। তাই ভাটা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান ভুক্তভোগী এলাকার জন সাধারন। ইট ভাটা তৈরীতে পরিবেশ সনদ, কৃষি অধিদপ্তরের সনদ, জেলা প্রশাসনের অনুমোদন সহ বিভিন্ন দাপ্তরিক সনদ থাকার কথা থাকলেও ইট ভাটাটি তৈর করতে কোন কিছুই নেই ভাটার মলিকদের কাছে। প্রায় এক মাস ধরে বসন্তপুর ইউনিয়নের ধুলদী জয়পুর গ্রামে এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী জোর জবরদোস্তি করে ইট ভাটা তৈরি কাজ শুরু করেছেন।

তবে এই ভাটাটি তৈরি করতে প্রশাসনের যে কয়েকটি অনুমোদন প্রয়োজন তার কোন কিছুই নেই তাদের কাছে। শুধু এলাকার সাধারন মানুষদের ভয় ভিতি দেখিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে তারা ইট ভাটাটি তৈরী করে চলেছেন। এতে স্থানীয়দের চরম ক্ষোভ দেখা গেছে। তিন ফসলী ধান ক্ষেত, লেবুর বাগান,কলা ও পেঁপেঁর বাগান, পোল্ট্রি মুরগীর ফার্ম সহ বিভিন্ন ফসলী জমি ও স্থানীয় অর্ধ শত মানুষের রয়েছে এ স্থানে বসতি। ইতমধ্যে পাশে চলাচলের জনসাধরনের একটি কাচা রাস্তা ছিল সে রাস্তাটিও মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচলের কারনে পুরো রাস্তাটি এখন নষ্ট হয়ে গেছে। ভাটা তৈরীর সময় তাদের একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তারা এতে কর্ণপাত করেননি। উপরন্তু এসব মানুষদের ভয় ভিতি দেখানো হচ্ছে। এলাকার কয়েকজনকে জমি লিখে দেওয়ার জন্যে হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলেও জানান বসবাসরত সাধারন মানুষ।

নতুন ভাটা তৈরি স্থানের বাসিন্দা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মান্নান খান ও ফরহাদ শেখ, নাজমুল কেষ সহ আরো অনেকে বলেন, নতুন এই ভাটাটি তৈরী করছেন এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকজন। তাদেরকে এখানে ভাটা তৈরী করতে নিষেধ করা হলে বিভিন্ন সময়ে তাদের ভয়ভিতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এখানে ধান, সবজি ,কলা ও পেঁপেঁর বাগান সহ মুরগীর ফার্ম ও প্রায় ৫০টি পরিবারের বসতি রয়েছে। ভাটা তৈরী হলে তারা মারাত্বক ভাবে ক্ষতির মধ্যে পরবেন এখানে বসবাস ও ফসলী জমির আবাদ নিয়ে। ইট ভাটা হলে এখান থেকে তারা কোন ধরনের ফসল উৎপাদন এবং বসবাস কোনটিই করতে পারবেন না। তাই তারা চাচ্ছেন এই স্থানে যেন ইট ভাটা তৈরী বন্ধ করা হয়। এজন্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করনে ভুক্তভোগী সাধারন মানুষ।

ভাটার মালিক রব শেখ বলেন, (৩ নং ফাইলে ১ম জন ) তারা এই ভাটার সাথে মালিকানায় রয়েছেন কয়েকজন, তাদের এবিসি নামে একটি ভাটা রয়েছে পাশে। তাই পাশে থাকা ভাটার জন্যে তারা ইট তৈরীর জন্যে চাতাল বা পট তৈরী করছেন। এখানে পরিবেশের জন্যে কোন ক্ষতি হবেনা বলে জানান। তবে তারা কোন জোর বা ভয় দেখিয়ে কোন কিছু করছেন না। তাদেও নিজস্ব মালিকানায় থাকা জমি লিজ নিয়ে পট তৈরী করছেন। তবে পাশে থাকা ফসলী জমি ও বাগানে রয়েছে বল্লেও তারা বলেন পাশে কোন ক্ষেত নেই। তাছাড়া ইট তৈরী করলে এখানে কোন কিছু ক্ষতি হবে না বলেন ভাটার মালিক।

মোঃ আরিফুর রহমান-নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সদর উপজেলা রাজবাড়ী ,তিনি বলেন, ভাটার বিষয়ে তিনি একটি অভিযোগ পেয়েছেন। দু’এক দিনের মধ্যে ইট ভাটা তৈরির স্থান পরিদর্শন করতে যাবেন। ইট ভাটা তৈরীর জন্যে যে প্রচলিত আইন রয়েছে তা তিনি সর জমিনে দেখবেন এবং জন দুর্ভোগ যদি থাকে সেটা বাস্তবসম্মত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী তিন ফসলী জমিতে ইট ভাটা হওয়ার সুযোগ নেই, যদি ফসলী জমিতে ইট ভাটা করা হয় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।

(একেএ/এসপি/অক্টোবর ১৮, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test