E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কেন্দুয়ায় নদীতে বাধ উঠিয়ে অবাধে চলছে পোনা মাছ নিধন

২০২০ অক্টোবর ১৯ ১৮:৩৬:৫৬
কেন্দুয়ায় নদীতে বাধ উঠিয়ে অবাধে চলছে পোনা মাছ নিধন

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : প্রশাসনের সঙ্গে পাল্টা দিয়ে পাটেশ্বরী ও সাইঢুলী নদীতে বাধঁ উঠিয়ে পানির গতি প্রবাহ রোধ করে অবাধে নিধন করা হচ্ছে পোনা মাছ সহ সকল প্রকার মাছ। এতে মুক্ত জলাশয় থেকে সাধারণ মানুষ মাছ ধরা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন। এক শ্রেনীর মৎস্যাজীবীরা মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের সঙ্গে পাল্টা দিয়ে প্রভাবশালী মহলের ছত্র ছায়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে পোনা মাছ সহ সকল প্রকার মাছ নিধন করেই চলছেন। তারা সাধারণ জনগনকে সরকারের এই মুক্ত জলাশয়ে একটি বড়র্শী দিয়েও মাছ ধরতে দিচ্ছেন না। 

জানা যায়, প্রভাবশালী চক্রটি এই মৎস্যাজীবীদের কাছ থেকে ইজারার কথা বলে অবৈধ টাকা আদায় করে নিচ্ছেন। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পাটেশ^রী নদীতে বেজগাঁও নামক স্থানে জনৈক মাজু মিয়া নদীতে বাধঁ দিয়ে পানির গতি প্রবাহ রোধ করে পোনা মাছ সহ অবাধে সকল প্রকার মাছ নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল দিয়ে নিধন করে আসছিলেন। তাকে বারবার নিষেধ করার পরও তিনি তা মানছিলেন না। পরে গত সপ্তাহের রোববারে নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্র্যাট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: খবিরুল আহসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালনা করে পাটেশ্বরী নদী থেকে তিনটি অবৈধ বাধঁ উচ্ছেদ করা হয়। নদীর তীরেই আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় আটককৃত কারেন্ট জাল। তাছাড়া দুই ব্যাক্তির কাছ থেকে দুই হাজার টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়। কিন্তু মাজু মিয়া একদিন পর ওই নদীতে আবার অবৈধ বাধঁ দিয়ে মাছ নিধন শুরু করেন।

বুধবার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: মইন উদ্দিন খন্দকারকে বিষয়টি জানালে তিনি তার নেতৃত্বে সন্ধ্যার পর পুনরায় ওই তিনটি বাধঁ উচ্ছেদ করে আটক জাল সহ আগুনে পুড়িয়ে দেন। সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাইঢুলী ও পাটেশ্বরী নদী থেকে সব অবৈধ বাধঁ উচ্ছেদ করার দাবি তুলেন, বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আকবর তালুকদার মল্লিক।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালনা করে পাটেশ্বরী নদীর বেজগাঁও নামক স্থানে তিনটি বাধঁ দুইবার উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু জুড়াইল ও নওপাড়া এলাকায় সাইঢুলীর শাখা নদীতে ৭-৮ টি বাধঁ প্রশাসনের সঙ্গে পাল্টা দিয়ে অবাধে মাছ নিধন করে আসলেও তা উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। এতে স্থানীয় জনগনের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। যে কোন সময় সংঘর্ষ বেধে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি মুক্ত জলাশয়ের সব বাধঁ জরুরি ভাবে উচ্ছেদ করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: মইন উদ্দিন খন্দকার জানান, ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালনা করে দুটি নদীর সব বাধঁ উচ্ছেদ করা হবে। তবে বাধঁ উচ্ছেদের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগন ও নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক ভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

(এসবি/এসপি/অক্টোবর ১৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test