E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কলগার্ল দিয়ে চলছে ব্ল্যাকমেইল-বাণিজ্য!

২০১৪ আগস্ট ১৮ ১৪:২১:০৪
কলগার্ল দিয়ে চলছে ব্ল্যাকমেইল-বাণিজ্য!

বগুড়া প্রতিনিধি : কলগার্লদের জালে আটকা পড়ছেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও ধনী পরিবারের স্কুল-কলেজপড়ুয়া সন্তানরা। আর এই কলগার্লদের ব্যবহার করছে একটি ব্ল্যাকমেইলকারী চক্র। অনেকে তাদের ফাঁদে আটকা পড়লেও লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে জানান না। এমনকি থানায় মামলা পর্যন্ত করেন না। ফলে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে।

এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বগুড়া শহরের ফুলতলা, ফুলদীঘি, উপশহর ও জলেশ্বরী এলাকায় এর।

বগুড়া শহরের এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক। বয়স ৬০ বছর। একদিন মুঠোফোনে উপশহরের একটি বাসায় আসতে বলেন স্বর্ণালি আক্তার (৩০) নামের এক কলগার্ল।

এক সপ্তাহ ধরে স্বর্ণালির সঙ্গে ফোনে আলাপ-আালোচনা চলে আবদুর রাজ্জাকের। একদিন স্বর্ণালি তাকে তার বাসায় যেতে অনুরোধ করে। কলগার্লের কথামতো ওই বাসায় যাওয়ামাত্রই আবদুর রাজ্জাককে কয়েকজন মিলে বেঁধে ফেলে। পরে তার কাছ থেকে স্ত্রীর ফোন নম্বর নিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে স্বর্ণালি।

রাজ্জাকের স্বজনরা গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে উপশহর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় স্বর্ণালিসহ মূল হোতা জাহিদুল ইসলাম (৫০) এবং মামুন উর রশিদকে (৪৫) আটক করে পুলিশ।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান জানান, কয়েক মাস আগেও ব্যবসায়ী রাজ্জাক একই কায়দায় ব্ল্যাকমেইল ও অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। তখন ২০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি থানায় মামলা করেননি।

এদিকে শহরতলি ফুলদীঘি এলাকার চি‎হ্নিত সন্ত্রাসী রফিক কামাল দুলু একটি বাড়িতে পাঁচ কলগার্লের সহায়তায় ব্ল্যাকমেইল-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে তিন শিক্ষার্থী ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে জানালা দিয়ে তাদের ডাক দেয় এক কলগার্ল। পরে কৌশলে ওই বাড়ির মধ্যে তাদের আটকে ফেলা হয়।

অপহৃতদের মধ্যে সোহাগ (১৮) ও এমরান হোসেন (১৭) মিলেনিয়াম স্কলাস্টিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। অপরজন নট্রামসের ছাত্র রাব্বি (১৫) । তারা সবাই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। তাদের প্রত্যেকের পরিবারের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে দুলু। এ সময় পুলিশকে খবর দিলে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় ওই সন্ত্রাসী।

গভীর রাতে ওই তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসী রফিক কামাল দুলুকে পুলিশ আটক করলেও কলগার্লরা পালিয়ে যায়।

জেলা পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, কলগার্লদের সহায়তায় ব্ল্যাকমেইল ও অপহরণকারী চক্র একের পর এক অপরাধ করেই যাচ্ছে। তাদের পেছনে প্রভাবশালী একটি মহল জড়িত। এসব ঘটনায় থানায় মামলা করতে চান না ভুক্তভোগীরা।

কলগার্লদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বগুড়ার পুলিশ সুপার।

এ বিষয়ে ইটিভিতে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। দেখুন প্রতিবেদনটি--



(ওএস/এটিআর/আগস্ট ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test