E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে মাদক মামলায় সাবেক ইউপি সদস্যের যাবজ্জীবন

২০২০ নভেম্বর ০৯ ১৯:১৪:২৫
বাগেরহাটে মাদক মামলায় সাবেক ইউপি সদস্যের যাবজ্জীবন

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে আট বছর আগের একটি মাদক মামলায় সাবেক এক ইউপি সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ওই ইউপি সদস্যকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয় আদালত। এই মামলার অপর তিন আসামী বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক তপন কুমার রায় আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল আজিম শেখ ওরফে আজিম মেম্বর (৪৯) বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। তিনি ইউনিয়নের শ্যামবাগাত গ্রামের মো. জব্বার শেখের ছেলে।

খালাস প্রাপ্তরা হলেন, দন্ডিত ইউপি সাবেক সদস্য আজিম শেখের স্ত্রী সালমা বেগম আঁখি (৩৮), আজিমের ছোট ভাই আব্দুল আজিজ শেখ (২৮) ও ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতশৈয়া গ্রামের বিপুল খান (৩৩)। রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত আজিমের ছোট ভাই আব্দুল আজিজ শেখ ছাড়া অন্য আসামিরা সবাই পলাতক ছিলেন।

মামলার নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি শরৎ চন্দ্র মজুমদার বলেন, ২০১২ সালের ১৪ জুন ফরিকহাট উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের শ্যামবাগাত গ্রামের আজিম শেখ ওরফে আজিম মেম্বারের বাড়িতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে একশ গ্রাম হেরোইন, বেশকিছু নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসেটসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় ওইদিন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ফকিরহাট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আব্দুল আজিম শেখ ওরফে আজিম মেম্বার, তার স্ত্রী সালমা বেগম আঁখি, ভাই আব্দুল আজিজ শেখ ও বিপুল খানের ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।

মামলার পর আসামী আজিম শেখ জামিনে মুক্ত হয়ে পালিয়ে যান। ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এস এম জাফরুল আলম মামলার তদন্ত শেষে ওই চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক ৯ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আট বছর পর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

সাবেক ইউপি সদস্য আজিম শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন। মামলার অপর তিন আসামী দন্ডিত আজিমের স্ত্রী, ছোট ভাই এবং এক সহযোগির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন বিচারক।

আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট মিহির কুমার দেবনাথ।

(এসকে/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test