E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৬১৯ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা নিয়ে ডিসেম্বরে চালু হতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও সুগার মিল

২০২০ নভেম্বর ০৯ ১৯:৪৩:১৬
৬১৯ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা নিয়ে ডিসেম্বরে চালু হতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও সুগার মিল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : লোকসানের বোঝা আর পুরাতন যন্ত্রপাতি দিয়েই খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে একমাত্র ভাড়ি শিল্প ঠাকুরগাঁওয়ের সুগারমিলটি। এছাড়া শ্রমিকের বকেয়া বেতন, অবিক্রিত চিনি আর চলতি মৌসুমে মাড়াই কার্যক্রমে কাঙ্খিত আখ নিয়েও রয়েছে দুঃশ্চিন্তা। ফলে আবারো লোকসানের আশংকায় রয়েছে মিলটি। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের একমাত্র ভাড়ি শিল্প সুগারমিল। 

বর্তমানে ছয় শতাধিক শ্রমিকের সমন্বয়ে মিলটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। চলতি মৌসুমে আখ মাড়াই কার্যক্রম সফল করতে পুরাতন যন্ত্রপাতি মেরামতে তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করলেও ৫ মাস ধরে শ্রমিকদের বেতন বকেয়া পরে থাকায় কাজেও রয়েছে অনিহা। এছাড়া খোলা বাজারের চেয়ে মিলের চিনির দাম বেশি হওয়ায় গোডাউনেই পরে আছে ২৯শ মেঃ টন চিনি। সময়মত চিনি বিক্রি না হওয়ায় গুনগত মান নষ্টের পাশাপাশি প্রতি বছর লোকসানে পড়ছে মিলটি।১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে মিলটি আখ মাড়াই কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরুর পর থেকে লোকসানের বোঝা টানছে। কর্তৃপক্ষ আখ আবাদে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করলেও সময়মত টাকা দিতে না পারায় হয়রানির শিকার হয়ে আখ উৎপাদনে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ফলে মিলটি অন্যান্য বছরের মত চলতি মৌসুমেও কাঙ্খিত আখ মাড়াই কার্যক্রম ব্যহতের শংকায় রয়েছে।

স্থানীয় আখ চাষিরা বলছেন, সময় মত সার, বীজ ও অর্থ পরিশোধ করলে এলাকার চাষিরা আখ আবাদ করবে নইলে মুখ ফিরিয়ে নিবে। তবে ঠাকুরগাঁও সুগারমিলে এখন পর্যন্ত কোন আখ চাষির টাকা বকেয়া নেই।তবে সুগারমিল শ্রমিকদের অভিযোগ র্দীঘ পাচ মাস ধরে বেতন বকেয়া রয়েছে। যা পরিশোধ করছে না মিল কর্তৃপক্ষ। ফলে শ্রমিকরা কাজে অনিহা প্রকাশ করছে। আর পুরাতন যন্ত্রপাতি দিয়েই চালাতে হচ্ছে মিল। ফলে বার বার লোকসানে পড়তে হচ্ছে। মিলটি আধুনিকায়ন করা হলে লাভের মুখ দেখবে বলে আশাবাদি তারা।

ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের উপ-ব্যবস্থাপক (ইক্ষু সংগ্রহ) সুমন কুমার সাহা জানান, আমরা চাষিদের নিয়মিত পনারমর্শ দিয়ে যাচ্ছি। চাষিরা এখন নিয়মিত টাকা পাচ্ছেন। তবে চাহিদার তুলনায় আখ উৎপাদন হচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি কৃষকদের আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল কবির জানান, এ অবস্থায় চাষিদের সময় মত সার কিটনাষকসহ আখের মুল্য পরিশোধের পাশাপাশি শ্রমিকের বকেয়া পরিশোধ ও চিনির দাম কমানোসহ বর্ধিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যত হলে মিলটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব । মিলটি শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৬শ ১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা লোকসানে রয়েছে। আর ২শ ৭১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হলেও পাঁচ হাজার ছয়শ একর জমির চাষাবাদ আখ থেকে ৬৫ হাজার মেঃ টন লক্ষ্যমাত্রায় মিলটি চলতি মৌসুমের ডিসেম্বরে আখ মাড়াইয়ের কথা রয়েছে।

(এফ/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test