E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চাঁদপুর শহরের ময়লার স্তূপ মেঘনায়

২০১৪ আগস্ট ১৯ ১১:০০:৫২
চাঁদপুর শহরের ময়লার স্তূপ মেঘনায়

চাঁদপুর প্রতিনিধি : রাজধানী ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর চেয়েও মারাত্মক দূষণ হচ্ছে চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় মেঘনা নদী। চাঁদপুর পৌরসভার প্রতিদিনের সকল ময়লা-আবর্জনা এনে এই স্থান দিয়ে সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। ফলে পুরাণবাজারের ঘনবসতি এলাকার হাজার হাজার মানুষ নদীতে গোসল করতে গিয়ে ময়লা-আবর্জনার বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।

দূষিত পানির মধ্যে গোসল করে রোগ-জীবাণুতে আক্রান্ত হচ্ছে নারী-পুরুষ-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ। গত কয়েক বছর যাবৎ এভাবে নদী দূষণ করায় সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। জনপ্রতিনিধিদের জানানো সত্ত্বেও পৌর কর্তৃপক্ষ জনদুর্ভোগ নিরসনে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নদীতে গোসল করতে আসা সাধারণ মানুষ জানায়, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৌরসভার ট্রাকে ট্রাকে ময়লা-আবর্জনা হরিসভা সুভাস পল্লী নামক শহর রক্ষাবাঁধের এ স্থানের ঠোডায় সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। জাঁক বেঁধে ময়লার স্তূপ নদীতে ভাসছে আর স্রোতের ঘূর্ণিপাকে হরিসভা, পুরাতন ফায়ার সার্ভিস, বাকালী পট্টি, যুগি পট্টি, হরিবিলাস সাহার বাড়ি, রামঠাকুর দোল মন্দির ও পশ্চিম বাজার শহর রক্ষাবাঁধ বস্তি এলাকা জুড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমন কী সারাদিন নদীতে ময়লা-আবর্জনা ঘুরপাক খাচ্ছে। নদীতে গোসল করতে গিয়ে এসব ময়লা-আবর্জনার কবলে পড়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

মোম ফ্যাক্টরী, রিফিউজি কলোনী, বাঁশ হাটা বস্তি, দক্ষিণ বাজার, মধ্য শ্রীরামদী ও পশ্চিম শ্রীরামদীর হাজার হাজার মানুষ এতে ভুক্তভোগী। বাজারের গদি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান কর্মচারীরা গোসল করতে গিয়ে তারাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। খলিফা পট্টির ভাই ভাই স্টোরের দোকানী হারুন জানান, মাসের পর মাস পৌরসভার ফেলা ময়লা-আবর্জনার ভেতর তাদের গোসল করতে হয়। অনেকে চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। বিরাট নদী এলাকার অনেক জায়গা থাকা সত্ত্বেও জনাকীর্ণ এলাকা দিয়ে এভাবে নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে অথচ পরিবেশবাদীরাও নিশ্চুপ। অবিলম্বে ঐ স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপরে পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

(এমজে/এইচআর/আগস্ট ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test