E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আশার আলো দেখছে কিশোর-কিশোরী ক্লাব     

২০২০ ডিসেম্বর ০২ ১৭:৫২:৩০
আশার আলো দেখছে কিশোর-কিশোরী ক্লাব     

মাগুরা প্রতিনিধি : মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের  প্রকল্প কিশোর-কিশোরী ক্লাব করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকার  ৮ মাস পর স্বাস্থবিধি মেনে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা। তারই আলোকে আজ বুধবার ২ ডিসেম্বর মাগুরার শালিখা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শালিখা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কর্মকর্তা অনিতা মল্লিক এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কিশোর কিশোরী ক্লাবের সুপার ভাইজার আব্দুর রহমান,জেন্ডার প্রমোটার হুসাইন আলী, সংগীত শিক্ষক জামান চাঁদ, সুব্রত বিশ্বাস,সবিতা রানী রায়,আজিদা খাতুন,আবৃত্তি শিক্ষক আবু হুরাইরা, সুরমা খাতুন প্রমুখ।

উল্লেখ্য “শেখ হাসিনার উন্নয়ন, কৈশোরের জাগরণ” এই প্রতিপাদ্যের বিষয়ে সারাদেশে ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ইং থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের ৪৮৮৩টি ক্লাবের কার্যক্রম শুরু হয়।এই প্রকল্পের আওতায় ৯৫ জন ফিল্ড সুপারভাইজার,১০৮৬ জন জেন্ডার প্রমোটার,২৯২২ জন সঙ্গীত শিক্ষক ও ২৮১৪ জন আবৃত্তি শিক্ষক নিয়োজিত হন। জেন্ডার প্রমোটাররা অনেক দক্ষতার সাথে ক্লাবগুলো পরিচালনা করে আসছেন।

ক্লাবগুলোতে জেন্ডার প্রমোটার, সঙ্গীত শিক্ষক ও আবৃত্তি শিক্ষকদের দৈনিক ভিত্তিতে যে ভাতাপ্রাপ্ত ছিল যা তাদের পরিবার পরিজন চালানোর একমাত্র উপায় ছিল বলে জনাযায়। কিন্তু করোনা নামক অদৃশ্য ভাইরাস এর কারনে ৮মাস ধরে সাময়িক ভাবে ক্লাবের কর্যক্রম বন্ধ থাকে। পাশাপাশি জেন্ডার প্রমোটার,সংগীত শিক্ষক ও আবৃত্তি শিক্ষকদের দৈনিক ভিত্তিক বেতন ভাতা চালু ছিল। কিন্তু করোনার ভাইরাসের কারনে ৮ মাস বেতন ভাতা পাননি তারা। তাদের দুই বেলার খাবার কেড়ে নিয়েছে করোনা নামক ভাইরাস। ২৫ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ মাস ক্লাবগুলো বন্ধ থাকার কারনে কোন প্রকার ভাতা পাননি জেন্ডার প্রমোটার,সংগীত শিক্ষক ও আবৃত্তি শিক্ষকবৃন্দ ।

এ কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে ১০৮৫ জন জেন্ডার প্রমোটার, ২৯২২ জন সঙ্গীত শিক্ষক ও ২৮১৪ জন আবৃত্তি শিক্ষকের জীবন পরিচালনা করা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে জনবলের মাধ্যমেই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, কিশোর অপরাধ দমন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, জেন্ডার বেইজ ভায়োলেন্স দূরীকরণ, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডসহ দেশকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব কিশোর কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে ক্লাব বন্ধ থাকায় সারাদেশে হাজার হাজার কিশোর কিশোরীদের বাল্যবিবাহ হয়েছে বলে জানা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় শালিখায়ও একাধিক বাল্যবিবাহ খুব গোপনে হয়েছে বলে একটি সূত্র জানায়।

সেহেতু ক্লাবটিতে কর্মরত জেন্ডাপ্রোমোটার, সংগীত শিক্ষক ও আবৃত্তি শিক্ষকদের করোনাকালিন বন্ধ থাকা ৮ মাসের বেতন ভাতা প্রদানসহ কিশোর কিশোরী ক্লাবকে রাজস্বখাতে নেওয়ার জন্য সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন, প্রকল্পের সুপারভাইজারবৃন্দ, জেন্ডার প্রমোটার, সংগীত শিক্ষক ও আবৃত্তি শিক্ষকবৃন্দ।

(ডিসি/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test