E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা ও গঙ্গায় যৌথ পানি পর্যবেক্ষণ শুরু

২০২১ জানুয়ারি ০৩ ১৫:২৮:২৪
পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা ও গঙ্গায় যৌথ পানি পর্যবেক্ষণ শুরু

ঈম্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : গঙ্গার পানিচুক্তির দুই যুগ পূর্তির বছরে পদ্মা নদীতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পর্যবেক্ষণ দলের পানি পরিমাপ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম ২ জানুয়ারি থেকে ঈশ্বরদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি পরিমাপের কাজ শুরু করেছেন। ৩১ মে পর্যন্ত এই পরিমাপ ও পর্যবেক্ষণ চলবে। গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় এবারে একই সময়ে পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পয়েন্টে অন্তত ১৪ হাজার কিউসেক কম পানি বিদ্যমান রয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

গঙ্গা চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে পানিপ্রবাহ পর্যবেণ শুরু হয় । বছরের প্রথম দিন শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় ২রা জানুয়ারি থেকে পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ শুরু করা হয়েছে বলে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় পরিমাপ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোর্শেদুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ থেকে চারজন ও ভারতের দুজন বিশেষজ্ঞ টিম পর্যবেক্ষণের কাজ করছেন। তিনি আরো জানান, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বর্তমানে প্রায় ৮৮ হাজার কিউসেক পানি বিদ্যমান। গত বছরের ১লা জানুয়ারি হতে প্রথম ১০ দিনে ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গায় ১ লাখ ৬১ হাজার কিউসেক পানি ছিল। এতে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৬০ হাজার ৬১ কিউসেক এবং ভারতের ৪০ হাজার কিউসেক পানি। একই সময় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৫৭৪ কিউসেক। গত বছরের তুলনায় এবারে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে অন্তত ১৪ হাজার কিউসেক পানি কম বিদ্যমান রয়েছে। চুক্তির শর্তানুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে প্রতি ১০ দিন পর পর পানি প্রাপ্তির তথ্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং ৩১ মে পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।

১৯৯৬ সালের ১২ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদী পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ভারতের হায়দারাবাদ হাউজে। ১৯৯৭ সালে ১লা জানুয়ারি থেকে দুই দেশের মধ্যে ভারতের অংশে গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগির চুক্তি কার্যকর শুরু হয়। বাংলাদেশের পক্ষে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের পক্ষে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

দুই দেশের প্রকৌশলী ও পানি বিশেষজ্ঞরা প্রতি মাসে তিন দফা অর্থাৎ ১০ দিন পর পর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি প্রবাহের পরিমাপ রেকর্ড করে তা যৌথ নদী কমিশনের কাছে উপস্থাপন করেন।

(এসকেকে/এসপি/জানুয়ারি ০৩, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test