E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শৈলকূপা পৌরসভায় ইভিএমে শান্তিপূর্ণ ভোট

২০২১ জানুয়ারি ১৬ ১৬:৩৮:০৪
শৈলকূপা পৌরসভায় ইভিএমে শান্তিপূর্ণ ভোট

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকূপা পৌর নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও স্বতন্ত্র (আ. লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থীর গাড়ি ভাংচুরের মধ্য দিয়ে শনিবার নির্বাচন শেষ হয়েছে। তবে বড় ধরণের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকে নারী ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ভোট দেবার জন্য অপেক্ষা করে। দুপুর পর পুরুষ ভোটাররা ব্যাপক হারে ভোট দিতে দেখা যায়। দুপুর ১২টার মধ্যে ৬৩% ভোট পোল হওয়ার কথা জানান কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসররা।

সকালে শৈলকূপা পৌর এলাকার শাহী মসজিদ এলাকার ভোট কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা বিদ্রোহী প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ঢুকতে বাধা দেয়। খবর পেয়ে প্রশাসনের লোকজন পরিবেশ ফিরিয়ে আনে। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পৌরসভার খুলনা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের বাইরে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আযম ও সতন্ত্র জগ মার্কা প্রতিকের প্রার্থী তৈয়ব খার সমর্থকদের মাঝে প্রথমে উত্তেজনা ও পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় আহত হয় দুই জন। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১২ টার দিকে ঝাউদিয়া ভোট কেন্দ্রে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়বুর রহমানের গাড়ী ভাংচুর করে প্রতিপক্ষরা। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়বুর রহমান খান অভিযোগ করেন, বেলা ১২ টার দিকে ঝাউদিয়া ভোট কেন্দ্রে গেলে নেকৈা প্রতিকের প্রার্থীর লোকজন গাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে পালিয়ে যায়।

শৈলকূপা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জুয়েল আহমেদ জানান, নির্বাচনে ১টি চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে ৪জন, ৯জন সাধারণ কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ৩৬ জন, ও ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ১২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শৈলকূপা পৌরসভায় মোট ভোটার ছিল ২৮ হাজার ৬৩২। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ১১৩ ও মহিলা ভোটার ১৪ হাজার ৫১৯ জন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিভিন্ন কেন্দ্রে ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, শহরে দুই প্লাটুন বিজিবি, ৪শ’ পুলিশ সদস্য এবং ১৩৫ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করার কারণে বড় ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপুর্ন হওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ১৬, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test