E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নিয়ামতপুরে অজ্ঞাত রোগে পোল্ট্রি খামারে মুরগি মারা যাচ্ছে!

২০২১ জানুয়ারি ১৬ ১৮:৫৪:০৩
নিয়ামতপুরে অজ্ঞাত রোগে পোল্ট্রি খামারে মুরগি মারা যাচ্ছে!

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় অজ্ঞাত রোগে ব্রয়লার মুরগির খামারে হাজার হাজার মুরগি মারা যাচ্ছে। ফলে এ শিল্পে ধস দেখা দিয়েছে। রোগ নির্ণয় করতে না পারায় খামারে মুরগীর মৃত্যু থামছে না। এতে খামারির মাথায় হাত পড়েছে। খামারে হাজার হাজার টাকার মুরগী মরে যাওয়ায় পথে বসেছেন খামার মালিক। নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউপির গলাইকুড়া গ্রামের খামারী মিজানুর রহমান খোকন নিশ্চিত করেছেন এমন তথ্য। এখনি এই অজানা রোগ নির্ণয় করে ব্যবস্থা গ্রহন করতে না পারলে মহামারী আকার ধারণ করে উপজেলার অন্যান্য খামারীরাও সর্বশান্ত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গলাইকুড়া গ্রামের খামারী মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান খোকন জানান, ২০০৭ সালে ৩শ’ ব্রয়লার মুরগী নিয়ে খামার শুরু করেছিলেন। প্রথম থেকেই সীমিত লাভ দিয়ে ব্যবসা করে আসলেও ধুকে ধুকে চলে আসছিল। আস্তে আস্তে পরিধি বাড়িয়ে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার ব্রয়লার মুরগীর খামার চালিয়ে আসছিলেন তিনি। চলতি মাসের প্রথম দিকে অজ্ঞাত রোগের হানায় গত কয়েক দিনে তার প্রায় ১ হাজার মুরগি মারা গেছে। বর্তমানে তার পুঁজিসহ সব শেষ হয়ে গেছে।

খোকন আরো বলেন, অজানা রোগে আমার খামারের সব মুরগী মারা যাওয়ায় আমি সর্বশান্ত। এক বছর পূর্বে একবার রোগে আমারসহ উপজেলার প্রায় খামারের মুরগী মারা যায়। তখন বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে তদন্ত করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। তাছাড়া করোনা মহামারীতেও আমরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শেষ হয়ে গেছি। আমাদের দাবী সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে আমাদের এই পোল্ট্রি সেক্টরকে বাঁচান, আমাদেরকে বাঁচান।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ আহমেদ জানান, প্রায় সব মুরগী শেষ করে আমার কাছে নিয়ে এসেছিল। আমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তেমন কোন রোগ ধরতে পারিনি। তাছাড়া আমাদের কাছে পরীক্ষা করার মত কোন যন্ত্রপাতিও নেই। তাই খামারীকে জয়পুরহাটে ল্যাবে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করার পরামর্শ প্রদান করি।

(বিএস/এসপি/জানুয়ারি ১৬, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test