E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের অন্যায় অপকর্মে অস্থির পাট্টা ইউনিয়নবাসী

২০২১ জানুয়ারি ১৮ ১৬:৪২:৫০
চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের অন্যায় অপকর্মে অস্থির পাট্টা ইউনিয়নবাসী

স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস একজন সন্ত্রাস। যার সন্ত্রাসী কাজ কর্মের মাধ্যেমেই নিজের আধিপত্ত রক্ষা করে থাকেন। তার সন্ত্রাস বাহিনীর অন্যতম প্রধান চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও ইয়াবা সহ পাঁচ মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। পিতা মৃত ইসলাম মন্ডল (এসো) মুছিদাহ, পাট্টা, পাংশা। 

শোনা যায়, আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস একজন শালিসবাজ,চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসবাজ, গরিব অসহায় মিসকিন ও দিন মজুরদের প্রাপ্য চাল ডাল ও ভাতার কার্ডের দূর্নীতি। বয়স্কদের বয়স্ক ভাতার কার্ডে দূর্নীতি, গরীবদের চাউলের কার্ডে দূর্নীতি, শালিসের নামে চাঁদাবাজি, রাস্তা ঘাটের গাছ সরকারি বলে গ্রাম পুলিশ দিয়ে কেঁটে নিজের পকেটে পুড়ে নেয়।

আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস ২০১৭ সালের প্রথমে জাগির কয়ার রাস্তা সকস্করনের সময় সবার গাছ কেটে নেওয়ার হুকুম দিলেও মেম্বারসহ দুই জনের ছোট সব গাছ আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস কেটে নিয়ে যান। শালিসী ব্যবস্তার নামে বিভিন্ন সাধারণ জনগণের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের প্রধাণ কৌশল। জাগিরকয়া গ্রামের এক ডাক্তারের কাছ থেকে শালিসি নামে অন্যায় ভাবে মোটা অংকের টাকা নেয় এবং অনেক জনগনের মাঝে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন। আব্দর রব মুনা বিশ্বাসকে পাট্টা ইউনিয়নের সকল সাধারণ জনগণ ভয় পায় কারণ তার আছে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী।

লোকের মুখে শোনা যায়, তার আদরের ছোট ভাই ডাবলু বিশ্বাস, আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের সন্ত্রাসিদের সকল ধরনের অস্ত্রের যোগান দিয়ে থাকেন, যাদেরকে গ্রেপ্তার করলে আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের সন্ত্রাসি অস্ত্র ভান্ডারের সন্ধান মিলবে, আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের ছোট ভাই ডাবলু বিশ্বাস, রবিউল ইসলাম মুছিদাহ পাট্টা,আব্দুল হান্নান খামারডাঙ্গি পাট্টা। মোঃ হারুন খামারডাঙ্গি পাট্টা।।

পাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস একজন সন্ত্রাস ও তার আছে বিশাল এক সন্ত্রাস বাহিনি যাদের দ্বারা তিনি পাট্টা ইউনিয়ন শাষন করে চলেছেন নিজের ইচ্ছা মতো। আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের অন্যায় ও অপকর্মে অতিষ্ট পাট্টা ইউনিয়নের জনগণ।আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস ২০১৭ সালে পাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তার এই অপক্ষমতার ব্যবহার আরাম্ভ শুরু করেন। পাট্টা গ্রামের একজন যুবক মোবাইলে একজন মেয়ের সাথে কথা বলতেন এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক হয়। তাদের দুজনের সম্মতিতে বিবাহ করেন, কিন্তু এটা চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস মানতে নারাজ।আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস তাদের দুজনকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে এনে জোর/ জুলুম করে মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায় করেন এবং তাঁর বডিগার্ড রবিউল ইসলাম নেন এর টাকার ভাগ নেন ।সেই প্রেমিক জুগল এখনো একসাথেই সংসার করছেন।

আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস এমন অগণিত শালিসের নাম করে চাঁদাবাজি করেন।পাট্টা ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড জোনাপাট্টায় চাউলের কার্ড ও এক নং ওয়ার্ডয়ে চাউলের কার্ড সহ পাট্টা ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটা ওয়ার্ডে রয়েছে চাউলের কার্ডের দুর্নীতি। পাট্টা ইউনিয় পরিষদ চলে সম্পূন্য আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসে নেতৃত্ত্বে। পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সদস্য (রতন পাল) গত চার বছরে একদিনের জন্যও ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারেননি। কারণ তিনি সত্যবাদী কখনই অন্যায়কে আশ্রয় দেননা এজন্যই হয়তো তিনি ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করতে পারেননা। ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সদস্য আব্দুর রব তিনিও আজ অবধি ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারেননি তাদের অপরাধ কি? তারা কি জনগনের ভোটে মেম্বার হননি নাকি তারা আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের অপকর্মের সাথে জরিত হতে চাননা বলে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়না। আব্দুর রব মুনা বিশ্বার পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদকে নিজের ইচ্ছা মতো পরিচালনা করেন যেখানে কারো মত প্রকাশের সুযোগ নেই।

চেয়ারম্যার আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের অর্থ উপার্যনের প্রাধাণ প্রধান কৌশল হলো শালিসের নামে চাঁদাবাজি ও প্রজেক্টের কাজ না করে সেই টাকা আত্বসাৎ করা। পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ের সাধারণ জনগনের কাছ থেকে শালিসি ব্যবস্থ্যা সঠিক ভাবে করবে বলে ও ভয়ভীতি দেখি চাঁদা আদায় করেন। পাট্টা ইউনিয়ন থেকে এখন পর্যন্ত ৭০/৭২ শালিসি ব্যবস্থার মাধ্যেমে ১ কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন। যার প্রমান পাট্টা ইউনিয়নের নির্যাতিত জনগণ।

আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের বিশাল এক সন্ত্রাস বাহিনী আছে যাদের ভয়ে সাধারণ জনগন চাঁদা দিতে বাধ্যে হয়। চাঁদা না দিলে প্রাণ নাশের হুমকি সহ মারপিঠ করতে একটু দিধা করেননা তিনি। এমন অনেক প্রমাণ আছে যে চাঁদা দিতে না সিকার করলে ইউনিয়ন পরিসদে এনে তাকে তার সন্ত্রাস বাহিনি দিয়ে গণপিটুনি দেয়। আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের আছে বিশাল এক সন্ত্রাস বাহিনী যাদের মাধ্যেমে সে তার সকল অপকর্ম ও অন্যায় কাজ সফল ভাবে করতে পারেন।

মুনা বিশ্বাসের সন্ত্রাস বাহিনির অন্যতম সদস্যদের তালিকা১, আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের বডিগার্ড রবিউল ইসলাম, ২, হারুণ, ৩, সোহাগ, ৪, হান্নান, ৫, আব্দুল হালিম, ৬, মাসুম বিল্লাহ, ৭, জিন্না ৮, পুইজোরের লতিফ, ৯, বাবুসহ অনেকে। আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস দূর্বৃত্তপনায় খুব পারদর্শী। তার দূর্বৃত্তপনার শীকার হয়েছেন পাট্টা ইউনিয়নের অসংখ্য সাধারণ জনগণ । আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস অবৈধ ভাবে পাট্টা ইউনিয়নের চার জলা/বিলে মাছের চাষ করেন। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ চাইলেও কোনভাবে মাছ মেরে খেতে পারেনা। বিল/জলা থেকে প্রতি বছরে তার আয় আসে মোটা অংকের টাকা পর্যন্ত। এমন হাজারো অপকর্মের মাধ্যেমে তিনি গড়েছেন কোটি কোটি টাকার পাহাড়।

পাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের এমন শালিসের নামে চাঁদাবাজির প্রমাণ অগণিত। গত ২০১৯/২০২০ অর্থ বছরে পাট্টা ইউনিয়নে বড় অংকের টাকার প্রজেক্ট ছিলো যার একটাকাও কাজ করে দেখাননি তিনি। পাট্টা ইউনিয়নের চাউলের কার্ডেও থাকে তার বিশাল দূর্নীতি, তার পছন্দের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের মাঝে কার্ড বন্টণ করেন। তার এই চাউলের কার্ডে দূর্নীতির কারণে সাধারণ দিনমজুরিরা চরম কষ্টের মাঝে জীবণ যাপন করছেন। সরকারি ভাবে একটা ইউনিয়নে অনেক গুলো প্রজেক্ট পাস হয় কিন্তু আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস ইউনিয়নের কোন কাজ করেননা বরং সেই সব প্রযেক্টের টাকা সম্পূন্য তিনি হাতিয়ে নেন।

পাট্টা ইউনিয়নে যে সকল বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্যকালিন ভাতা সহ যাবতিয় ভাতার কার্ডে তার দূর্নীতির শেষ নেই,যদিওবা কিছু ব্যক্তির কার্ড ঠিক আছে তবে তারা হলেন আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের একান্ত কাছের ব্যক্তি ও আত্মীয়। আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস পাট্টা ইউনিয়নে এমন হাজারো দূর্নীতি করে গড়েছেন টাকার পাহাড়। তিনি বিভিন্ন ভাবে সরকারি জমি দখল, সরকারি সম্পদ লুট এবং নিজস্ব আত্বীয় সজন দ্বারা বিভিন্ন ভাবে দূর্নীতি করে থাকেন।

সরকারি জমি দখল করে বিলাস বহুল বাড়ি নির্মান। ত্রাণের টিন দিয়ে দোকান নির্মাণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ /সম্পত্তি নিজ সম্পদে পরিনত করা তার অর্জিত অবৈধ টাকা দিয়ে গড়েছেন মাঝাইল নদীতে অবৈধ ভাবে হাওয়াই হাউস নামে দুই তলা বিলাস বহুল ভবণ।এখানেই শেষ নয়, আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস তাহার শ্বশুর বাড়ি খুলনাতে গড়েছেন তিন তলা বিশিস্ট দুইটা বিলাস বহুল আবাসিক বাস ভবণ। বাদ যাইনি স্কুলের জমিও পাট্টা ইউনিয়নের পুঁইজোর এ জি এম উচ্চবিদ্যালয়ের ৪৭ শতাংশ জমি তার এক সহযোগী সন্ত্রাসি দখল করে আছেন কয়েক বছর।

পুঁইজোর এ জি এম উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি ইউনুস হোসাইন পাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের ফুফাতো ভাই হওয়ার সুবাদেই এই জমি পুঁইজোর এ জি এম উচ্চবিদ্যালয়ের দখলে আনা সম্ভব হচ্ছেনা। পুঁইজোর এ জি এম উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি একজন সন্ত্রাসি ও লুটবাজ তার দাদা ছিলেন একাত্তরের একজন রাজাকার।আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসেন আত্বীয়তার সূত্র ধরেই এমন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন তিনি।

পুঁইজোর এ জি এম উচ্চবিদ্যালয়ের ৪৭ শতাংশ জমি দখলকারি পূর্বে ছিলেন বিএনপির একজন তুখোর সন্ত্রাস। আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের আত্বীয়তার সূত্র ধরেই তারা এভাবে বছরের পর বছর পুঁইজোর এ জি এম উচ্চবিদ্যালয়ের ৪৭ শতাংশ জমি দখল করে বসতবাড়ি ও আম, লিচুর বাগান তৈরি করে মহা সুখেই দিন কাটাচ্ছেন যেন কেউ এমন অপকর্মের বাধা দেওয়ার নেই। মুনা বিশ্বাস বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম,সন্ত্রাসি,চাঁদাবাজি আরাম্ভ করেন। এমপি জিল্লুল হাকিম কারো সমর্থন না নিয়েই মুনা বিশ্বাসকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন। তখন থেকে তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তিনি স্থানীয় বয়রাট ফাজিল মাদ্রাসার কমিটির সভাপতি পদ দখল করেন, তার পরেই আরাম্ভ হয় তার রমরামা নিয়োগ বাণিজ্য ব্যবসা সহ মাদ্রাসার গাছ, ইট, রড, ঘর ইত্যাদির দূর্নীতি।তার এই দূর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনা বললেই বিভিন্ন ভাবে হত্যা করার হুমকি দেন।

বর্তমানে তার এই দূর্নীতের জন্য সভাপতি পদ থেকে অব্যহতি দিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রাজবাড়িকে সভাপতি নির্বাচিত করা হলেও তার ক্ষমতা বলে অপকর্ম ও দূর্নীতি বন্ধ হয়নি আজও। তার দায়িত্ব পালন করা কালিন,সহ-মৌলবী,ও ইবতেদায়ী প্রধান, ইংরেজি শিক্ষক,আরবী প্রভাষক।তাদের থেকে আদায়কৃত টাকার সঠি তথ্য এখনো জানা যায়নি। গন্থগারিক পদের জন্য মোটা অংকের টাকা, উপাধ্যক্ষ পদের জন্য মোটা অংকের টাকা, তাকে আরবী প্রভাষক থেকে পদোন্নতি দিয়ে পদ শূন্য করে সেই পদে অন্য একজনের নিয়োগ দেওয়ায় পদের জন্য মোটা অংকের টাকা, টাকায় নিয়োগ দিয়ে ডাবল বানিজ্য করেন।

সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) পদের জন্য মোটা অংকের টাকা। সহকারি শিক্ষক (কম্পিউটার)পদের জন্য মোটা অংকের টাকা, নেন। এই পদে অন্য একজন চাকরি করতেন (ইংরাজি) যিনি ছিলেন একজন যোগ্য শিক্ষক।কম্পিউটার বিষয়ে মাস্টার ট্রেইনার ছিলেন। আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস অপকৌশলে আবু সায়েমকে অপমান করেরতারিয়ে দিয়ে সেই জায়গায় নয়নকে নিয়োগ দেন। আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের সহোদর ছোট ভাই ডাবলু বিশ্বাসের স্ত্রী আফিয়া সুলতানাকে ইবতেদায়ি জুনিয়র শিক্ষক পদে চাকরি দিয়েছেন। যে পদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ দ্বিতীয় বিভাগ প্রাপ্ত হতে হবে।কিন্তু আফিয়া সুলতানা মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত। এছাড়াও আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের অপকর্মের শেষ নেই।

লোকের মুখে শোনা যায়, তিনি একজন কুখ্যাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাস, ক্যাডার বাহিনির প্রধান, দূর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, ঠকবাজ, শালিসবাজ, জুলুমবাজ, দখলবাজ, অসহায় মিসকিনদের ত্রানের চাউল ও অর্থ আত্নসাতকারি রাজবাড়ি দুই আসনের পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালির ক্ষমতাধর জিল্লুল হাকিমের পোষ্য পুত্র, আশ্রিত, আশির্বাদ পুষ্ট, সকল ধরনের অপকর্মের সমর্থন পুষ্ট আওয়ামিলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস।

সরেজমিনে তদন্ত করলে তার সঠিক প্রমাণ পাওয়া যাবে। আওয়ামীলীগ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে ইউনিয়ন নির্বাচনে আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের ভরাডুবির পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। গত শনিবার ১৬/০১/২১ চেয়ারম্যান সয়ং আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস ও তার সহোযোগীরা মিলে এক প্রবাসীকে বসার চেয়ার ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে। এতে প্রবাসী সহিদ প্রমানিক গুরুতর জখম হয় এবং তার একটি হাত ভেঙ্গে যায়। প্রবাসী সহিদ প্রমানিক বর্তমান পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্রস এ চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।

প্রবাসী শহিদ প্রমানিক বলেন, আমার প্রতিবেশী সন্তোষ মন্ডল ১৬/০১/২১ শনিবার আনুমানিক সকাল ০৮ঃ০০ ঘটিকার সময় কথা আছে বলে তার পুকুর চালায় ডেকে নিয়ে যায়। উক্ত পুকুর চালায় আমার বিবাদীগন আগেই উপস্থিতি ছিলো এবং আমাকে হুমকি ধামাকি দেয় যার কারনে আমার সাথে তাদের কথা কাটি হয়। তাহারা বলে তুই আমার সাথে তর্ক করিস তোর ছেলের আর তোর কথা বার্তা ভালো নয়। তার পর এক পর্যায়ে পাট্টা ইউনিয়নের চেয়াম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস প্রথমে বসার চেয়ার দিয়ে আমাকে বাড়ি মারে আর বলে তুই জোনাবের লোক এবং আমি পড়ে যাই। তার পর আমাকে বাড়ি দিয়ে চেয়ারগুলো ভেঙ্গে ফেলে। পরে তার এক সহোযোগী মটরসাইকেল থেকে রড এনে আমাকে এলোপাতারি বাড়ি দিতে থাকে এতে আমি রক্তাত্য যখম হই এবং আমার একটি হাত বাড়ি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। তারপর আমাকে দুইটা পিস্তল দেখিয়ে অনেক ভয়ভীতি দেখায়। তোকে মেড়ে ফেলবো তোকে শেষ করে দেব,তুই তো জোনাবের লোক তোকে মেড়ে ফেলবো।

এ বিষয়ে প্রবাসী শহিদ প্রমানিক ১৭/০১/২০২১ইং চেয়ারম্যান আব্দুর মুনা বিশ্বাসসহ ৩ জন অজ্ঞতনাম আরো৩/৪ জনকে আসামী করে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে যার মামলা নং৮। এ সম্পর্কে চেয়াম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করে কথা বলেন নাই। এই মুনা চেয়াম্যানের নামে থানায় একাধীক জিডি অন্তরভুক্ত আছে সে সব সময় মানুকে মারধুর হত্যার হুমকি দেয়।

এ মামলা সর্ম্পকে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ সাহাদত হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, থানায় মামলা রজু হয়েছে এবং সিদ্দিক নামক একজন আসমী গ্রেফতার হয়েছে। আর বাকি আসামিদের ধরতে জোর তৎপরতা অব্যহত রয়েছে ।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test