E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেরপুরে ব্রহ্মপত্র নদের ভাঙনে আরও ২০ ঘর নদীগর্ভে

২০১৪ আগস্ট ২৩ ১৭:২৬:৪৩
শেরপুরে ব্রহ্মপত্র নদের ভাঙনে আরও ২০ ঘর নদীগর্ভে

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরে চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের কুলুরচর এলাকায় পুরাতন ব্রহ্মপত্র নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ২৩ আগস্ট শনিবার দুপুর পর্যন্ত কুলুরচরের আরও ২২ ঘর নদীগর্ভে চলে গেছে। এনিয়ে গত চার দিনে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ওই এলাকার ৭৮ টি ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীণ হয়েছে।

পুরাতন ব্রহ্মপত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে শনিবার আরও ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ দশমিক ৭১ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হাছানুজ্জামান জানিয়েছেন।
নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত কুলুরচরের শিরি বেগম, রোজিনা বেগম ও রমজান আলী বলেন, আমাদের নিজস্ব জায়গা না থাকায় ঘরবাড়ী হারিয়ে অনেকটা যাযাবরের মতো জীবন যাপন করছি। সরকার থেকেও তাদের জন্য স্থায়ী কোন সমাধান করছে না। তারা নদীর কিছু অংশে বাঁধ নির্মানের দাবী জানান। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদে পানিবৃদ্ধির সাথে সাথে কুলুরচর ছাড়াও ডাকপাড়া, ভাগলদি, দিকপাড়া, চুনিয়ারচর গ্রামেও নদী ভাঙন শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ব্রহ্মপুত্রের জেগে ওঠা চরের শতাধিক বাড়ীঘরে পানি ওঠায় সেখান থেকে লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে ডাকপাড়া ও দিকপাড়া এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, শনিবার শেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আইরিন ফারজানা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আকবর আলী ও পিআইওকে সাথে নিয়ে কুলুরচরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ইউএনও বলেন, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই নদী ভাঙনে স্থানীয় লোকজন বসতভিটা হারাচেছ। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের সাথে কথা হয়েছে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু সহযোগিতা দেওয়া হবে।
(এইচবি/এএস/আগস্ট ২৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test