E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তাপমাত্রা ৬.২ ডিগ্রী

কনকনে ঠান্ডায় কাহিল ঈশ্বরদীর মানুষ

২০২১ জানুয়ারি ৩১ ১৩:৪৬:১৬
কনকনে ঠান্ডায় কাহিল ঈশ্বরদীর মানুষ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : উত্তেরের হিমেল হাওয়ায়  মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে ঈশ্বরদী জনপদের উপর দিয়ে। কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে ঈশ্বরদী জনপদের মানুষ। 

রবিবার (৩১ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই মৌসুমে ঈশ্বরদী জনপদে এটাই সর্নিম্মন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস।

শৈত্য প্রবাহের ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সেই সাথে সকাল সাড়ে দশটা অবধি দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশা ও কনকনে হাঁড় কাপানো ঠান্ডায় নাকাল খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তি মানুষসহ নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল অসহায় মানুষ।

প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। রাস্তাঘাট ও বাজারে কমেছে লোকজনের আনাগোনা। খড় খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে হতদরিদ্র পারিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের। অতিরিক্ত ঠান্ডায় মানুষের পাশাপাশি কাবু হয়ে পড়েছে গবাদিপশুও।

শীতের তীব্রতা মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন বোরো চাষিরা। বোরো চাষের ভরা মৌসুম চললেও কনকনে ঠান্ডায় চাষিরা ঠিকমতো মাঠে কাজ করতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে বোরো আবাদ। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।

অন্যদিকে টানা শীতে হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগে।

(এসকেকে/এসপি/জানুয়ারি ৩১, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test