E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো লক্ষীপুরের সুন্নী ইজতেমা

২০২১ জানুয়ারি ৩১ ১৮:৩৮:৩৯
আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো লক্ষীপুরের সুন্নী ইজতেমা

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় ৩১ জানুয়ারি রবিবার বেলা ১১টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সাইফিয়া দরবার শরীফের তিন দিনব্যাপী সুন্নী ইজতেমা ২০২১। শেষ দিনের আখেরী মোনাজাতে সারাদেশ থেকে আগত মুসল্লিদের ছিল উপচেপড়া ভিড়।

৩ দিনের এস্তেমায় বয়ান পেশ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওয়ায়েজগন। অসংখ্য মুসল্লি ও ভক্তদের আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয় সাইফিয়া দরবার শরীফ প্রাঙ্গণ। ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বাদ জোহর ধর্মীয় ভাব গাম্বীর্যের
মধ্যদিয়ে দরবার শরীফের পীর ছাহেব ক্বেবলা মুজতামিউস সুন্নী আলহাজ্ব শাহসূফী মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী আলকাদেরি আলচিশতী (মাঃজিঃআঃ) আনুষ্ঠানিক ভাবে সুন্নী ইজতেমার উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পীরজাদা আলহাজ্ব মাওলানা শাহ মোহাম্মদ আতায়ে রাব্বী সিদ্দিকী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পীর ছাহেব ক্বেবলা দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি এবং কল্যান কামনা করেন।

আখেরী মোরাজাতে, বিশ্বের সকল মুসলিমউম্মাহ, ভক্তআশেকানসহ দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লিগন ইজতেমা অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিবছর দেশি-বিদেশী হাজার হাজার ধর্মপ্রান মুসল্লি ও রাসুল প্রেমী আশেকানে তরিকতের ভক্তবৃন্দ উক্ত ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেন। লক্ষীপুর জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মজুচৌধুরী হাট সড়কের পার্শ্বে চররমনী
মোহন ইউনিয়নে চর আলীহাসান গ্রামে সাইফিয়া দরবার শরীফ অবস্থিত।

প্রখ্যাত পীরে কামেল মুজতামিউস সুন্নী আলহাজ্ব হযরত শাহসূফী মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী আলকাদেরী আলচিশতী (মাঃজিঃআঃ)র আহবানে প্রতিবছর এই দিনে ৩ দিনব্যাপী সুন্নী ইজতেমা অনু্ষ্িঠত হয়ে আসছে। মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রাসুল প্রেমি ভক্তরা ৩ দিনের ইজতেমায় প্রখ্যাত আলেদ্বিনদের ওয়াজ, জিকির শান নানা এবাদত মশগুলের মধ্যেদিয়ে ব্যায় করেন। ৩১ জানুয়ারি রোববার বেলা ১১ টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে ইজতেমা সমাপ্ত হয়।

করোনা ভাইরাসের কারনে স্বল্প পরিসরে এস্তেমার আয়োনজন করা হলেও ধর্মপ্রাণ মানুষের ছিল উপচেপড়া ভিড়। করোনাকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্ব্য সচেতনতায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ৩ দিনের ইজতেমায় ধর্মপ্রাণ মুসলমাদের জন্য
প্রর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা, চিকিৎসা সেবা প্রদান, বিশাল প্যান্ডেলে থাকা, লঙ্গর খানায় খাওয়ার সুব্যবস্থা সহ সব ধরনের সুযোগ সুবিদা প্রদান করা হয়।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ৩১, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test