E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বারি কর্তৃক উদ্ভাবিত কাঁঠালের বৃদ্ধি ও ফলনের উপর মাঠ দিবস

২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৩ ১৭:৩১:০৩
বারি কর্তৃক উদ্ভাবিত কাঁঠালের বৃদ্ধি ও ফলনের উপর মাঠ দিবস

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)-এর উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগ এবং সোসাইট ফর সাসটেইনেবল আরবান এ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট এরিয়া (সার্ডা) এর যৌথ আয়োজনে ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বছরব্যাপী উৎপাদনক্ষম একটি জাতসহ কাঁঠালের তিনটি জাত বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তারের উদ্দেশ্যে “Dissemination and validation of BARI developed year round jackfruit variety” শীর্ষক প্রকল্পের মাঠ দিবস সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টায় বারি’র ফল বিভাগের গবেষণা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহের ভালুকা ও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা থেকে কৃষকগন অংশগ্রহণ করেন।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এর নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস, প্রোগ্রাম স্পেশালিষ্ট ড. শাহাবুদ্দীন আহমদ, বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. এস. এম. শরিফুজ্জামান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল চন্দ্র সরকার।

মাঠ দিবসে কৃষক ও আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রকল্পের কর্মকান্ড ও চলমান গবেষণা সম্পর্কে বক্তব্য দেন ও কর্মকান্ড প্রদর্শন করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও ফল বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান। তিনি বারি উদ্ভাবিত তিনটি জাতের কাঁঠালের গ্রাফটিং এর চারার মাধ্যমে স্থাপিত বাগান ও গ্রাফটিং এর উপর গবেষণা কর্মকান্ড প্রদর্শন করেন। দেখানো হয় বিভিন্ন পদ্ধতিতে কাঁঠালের গ্রাফটিং এর উৎপাদিত চারা। গ্রাফটিং এর সফলতা শতকরা ৮০ ভাগের উপর বলে জানান হয় এবং উৎপাদিত চারাও দেখানো হয়। এতে এ্যাপ্রোচ গ্রাফটিং, ক্লেফট্ গ্রাফটিং ও ইপিকোটাইল গ্রাফটিং পদ্ধতিতে তৈরী চারা দেখানো হয়। উক্ত প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে সারা বছর অধিক পরিমাণে মানসম্পন্ন কাঁঠাল পাওয়া যাবে এবং চাহিদা মোতাবেক প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একই সাথে অধিক পরিমাণ কাঁঠাল সহজলভ্য হবে।

বিগত ২০১৮ এর জুলাই মাসে বারি কাঁঠাল-১, বারি কাঁঠাল-২ ও বারি কাঁঠাল-৩ এর গ্রাফটিং এর চারা দিয়ে একটি বাগান করা হয়। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আড়াই বছরের গাছগুলোতে ফুল আসতে শুরু করেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে কাঁঠালের উৎপাদন যেমন বাড়বে, পাশাপাশি দেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পুরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test