E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুবর্ণচরে মধ্যযুগীয় কায়দায় গৃহবধূকে নির্যাতন!

২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১৭:০৮:০৬
সুবর্ণচরে মধ্যযুগীয় কায়দায় গৃহবধূকে নির্যাতন!

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সুবর্ণচরে যৌতুকের দাবীতে এক গৃহবধূকে বেঁধে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐ গৃহবধূর শরীরের অধিকাংশ স্থানে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। মেয়েকে এমন অমানুষিক নির্যাতনের খবর পেয়ে কৌশলে ঐ গৃহবধূকে স্বামীর বাড়ী থেকে উদ্ধার করে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে তার মা এবং বড় বোন।

ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলা ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে।

নির্যাতিতা নারী বলেন, "৪ মাস আগে মধ্যম বাগ্যা গ্রামেন নুর উদ্দিনের পুত্র কালাম(২৫) এর সাথে ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়, বিয়ের পরেই কালামের বাবা নুর উদ্দিন কালাম ব্যবসা করবে বলে ২ লাখ টাকা গৃহবধূ রিনার পরিবারকে দিতে চাপ সৃস্টি করে এতে মেয়ের সুখের কথা ভেবে রিনার পরিবার ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা দেয়। কিন্তু কোন ব্যাবসা না করেই অন্য নারীর পরকিয়ায় পড়ে সব টাকা শেষ করে পেলেন কালাম পূনরায় আবারো টাকার চাইলে রিনাকে মারধর করে কালাম।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি আবারো রিনাকে বাবার বাড়ী থেকে টাকা আনতে বললে রিনা অস্বিকৃতি জানায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ দিয়ে রিনাকে পিটিয়ে আহত করে, তার শোর চিৎকারে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করতে আসলে তাদরেকেও নানা রকম অপমান করে তাড়িয়ে দেন কালাম, এভাবে ২ দিন ঘরের মধ্যে বন্ধী করে একটানা নির্যাতন চালায় কালাম ও তার পরিবারের সদস্যরা"।

পরে এলাকার মানুষের মুখে নির্যাতনের খবর পেয়ে রিনার মা কৌশলে স্বামীর বাড়ী থেকে রিনাকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

একই এলাকার স্খানীয় বাসিন্ধা (বিয়ের উকিল) মোঃ ফারুক বলেন, কালাম এর আগেও দুটি বিয়ে করেছে তার এমন নির্যাতনে আগের পরিবারও চলে গেছে, রিনাকে সে বিয়ে করার জন্য আমাকে অনেক অনুরোধ করে পরে আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে তাকে বিয়ে দেয়। বিয়েতে কালামকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা দেয় রিনার পরিবার, এখন যেটা ঘটেছে সেটা অন্যায় এব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন"।

অভিযুকক্ত কালাম বিয়েতে টাকা নেয়া এবং মারধরের বিষয়ে স্বিকার করে বলেন, আমি বিয়েতে ১ লাখ টাকা নিয়েছি এটা সত্য, পরে আমার বাবা আরো ১৫ হাজার টাকা হাওলাত হিসেবে নিয়েছে। সে এবং তার মা আমাকে গাল মন্ধ করায় আমি রিনাকে মারধর করি"।

৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খলিল বলেন"আমি বিষয়টি জেনেছি, উভয় পক্ষকে আসতে বলেছি দেখে শুনে কি করা যায় সে ব্যবস্থা নিবো।

তবে নির্যাতনের ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান নির্যাতিতা গৃহবধূর পরিবার।

এ ব্যপারে চরজব্বার থানার (ওসি) তদন্ত ইব্রাহিম খলিল জানান এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তবে পারিবারিক বিষয় গুলো আদালতে মামলা দেয়ায় ভালো"।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test