E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

‘রাণীশংকৈল পৌরবাসীর রাতের পাহারাদাড় হতে চাই’

২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১৮:১৫:২২
‘রাণীশংকৈল পৌরবাসীর রাতের পাহারাদাড় হতে চাই’

রাণীশংকৈল প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আ,ফ,ম রুকুনুল ইসলাম ডলার বলেছেন,আমি পৌরবাসীর পাশে থাকতে চাই, তাদের যে কোন প্রয়োজনে তাদের কাছে মুহূর্তের মধ্যে ছুটে যেতে যায়। আমি পৌর মেয়রের দায়িত্ব নিয়ে পৌরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই, পৌরবাসী রাতের বেলা নিবিঘ্নে ঘুমাবে আর আমি রাণীশংকৈল পৌরবাসীর রাতের পাহারা দাড় হয়ে থাকতে চাই। 

রবিবার বেলা ২টায় পৌরশহরের রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ মার্কেটে স্বতন্ত্র এ মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, পৌরশহর জুড়ে থাকা “কালো অন্ধকার দূর করে” আলোর শহর করতে চাই। স্থানীয় সিনিয়র সিটিজেন নাগরিকদের তাদের নিজ বাড়ী থেকেই অনলাইনে সেবা দিয়ে তাদের ভোগান্তি কমাতে চাই।

সাবেক ছাত্রলীগ এ নেতা পৌরশহর আধুনিকায়ন করার প্রতিশুতি দিয়ে আরো বলেন, পৌরশহরে শিশু পার্ক স্থাপন হবে, পৌরশহরের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক সমস্ত ঐতিহ্য যেমন কুলিক নদী সৌর্ন্দয করণ,রাজবাড়ী সংস্কার ।

ওয়ার্ডভিত্তিক সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করেত অভিযোগ বাক্স স্থাপন, শহরের যানমুক্ত করণ। এছাড়াও পৌর সভার লোড আনলোডের অতিরিক্ত টোল নেওয়া বন্ধ করাসহ মানুষের সমস্যা হয়, এমন কোন কাজ পৌরসভার পক্ষ থেকে করা হবে না বলে তিনি অঙ্গিকার করে বলেন, পৌরশহর হবে আধুনিক পয়-পরিস্কার মডেল পৌরসভা।

তিনি নিজেকে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান দাবী করে বলেন, আমার নানা ভাষা আন্দোলনের সময় রাণীশংকৈলের প্রথম শহিদ নফিজ উদ্দীন। আমার বাবা মরহুম নুরুল ইসলাম আ’লীগের জন্য অনেক করেছেন। জীবনের শেষ অবদি পর্যন্ত আ’লীগের জন্য কাজ করেছেন, তিনি উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বরতে অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি নিজেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে তৎকালীন বিএনপি জামায়ত সরকারী দলের নিকট নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। পড়াশুনা শেষে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছি বিগত কয়েক বছর ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছি। দলীয় নিয়ম অনুযায়ী নৌকা মনোনয়ন চেয়েছিলাম পায় নি। নৌকা না পাওয়ায় নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল না। তবে কর্মি সমর্থক স্থানীয় মুরব্বিদের চাপে আমাকে দলীয় সিদ্বান্তের বাইরে ভোটে অংশ গ্রহণ করতে হয়েছে। তিনি নির্বাচনে জেতার শতভাগ আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, আমি নির্বাচনে জিতলেও পৌরবাসীর পাশে আছি,না জিতলেও পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ।

উল্লেখ্য এ পৌরসভায় মোট ১২ জন মেয়র প্রার্থী, এদের মধ্যে আ’লীগের বিদ্রোহীসহ ৮ বিএনপি বিদ্রোহীসহ-২ জাতীয় পার্টি-১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী-১জন। তবে আ”লীগ বিএনপির দুই প্রার্থী নিজেকে নির্বাচন থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। ভোট অনুষ্ঠিত হবে ১৪ ফেব্রুয়ারী। মোট ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৭শত ০২ জন।

(কেএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test