E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দৌলতদিয়ায় চলছে মাটি বিক্রির মহোৎসব, প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাব

২০২১ ফেব্রুয়ারি ১৩ ২২:২০:১৩
দৌলতদিয়ায় চলছে মাটি বিক্রির মহোৎসব, প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাব

এম এ হিরা, গোয়ালন্দ রাজবাড়ী : দৌলতদিয়া নতুন ফেরিঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীর ধারে মাটি কেটে বিক্রি করছে মাটি খেকো ওসমান মেম্বার ওরফে ওসমান কাজী। ৩টি ভেকু ও ১০০ খানিক ড্রাম ট্রাক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১০০০ গাড়ি মাটি বিক্রি করছে ওসমান কাজী ও তার সহযোগী মাটি খেকো ব্যবসায়ীরা। প্রতি  গাড়ী মাটির খুচরা মূল্য মিনিমাম ১০০০ টাকা। তাহলে ১০০০ গাড়ি মাটির বাজার মূল্য ১০ লক্ষ টাকা প্রতিদিন।

অপরদিকে দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলের সামনে ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইদ্রিস পাড়ার পিছনে বাবু বেপারী প্রতিদিন ৩টি ভেকু ১০০টি ড্রাম ট্রাক দিয়ে দিবা-রাতি ২৪ ঘন্টায় প্রতিদিন প্রায় ৮০০-৯০০ গাড়ি মাটি কেটে বিক্রি করছে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় । প্রতি মাটির খুচরা মূল্য ১০০০ টাকা। তাহলে ৮০০ গাড়ি মাটির বর্তমান বাজার মূল্য ৮ লক্ষ টাকা প্রতিদিন। প্রশ্ন হচ্ছে এই মোটা অংকের টাকার ভাগীদার কে কে হচ্ছেন ?

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও তারা কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে বসে আছেন আল্লাহর বিচারের অপেক্ষায়।

আপনারা জানেন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত রাজবাড়ী দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুট নদী ভাঙ্গনের কারণে প্রায় রাজবাড়ির মানচিত্র থেকে বিলীন হবার পথে। গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের প্রাণের দাবি নদী শাসন। সরকারও বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নদী শাসনের চেষ্টা করছেন।

সরকারের এই নদী শাসনের চেষ্টাকে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ করার জন্য আদাজল খেয়ে লেগেছে দৌলতদিয়া এলাকার কিছু মাটি খেকো ব্যবসায়ীরা। তারা চেষ্টা করছেন সরকারের এই নদী শাসন প্রচেষ্টা কোনভাবেই সফল হতে দিবেন না, সাথে নীরব ভূমিকা পালন করছেন উপজেলা প্রশাসন , তারা যেন দেখেও না দেখার ভান করে আছেন।

অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মুঠোফোনে মাটি খেকো ব্যবসায়ী বাবু বেপারী প্রথমে বলেন, উপজেলার প্রত্যেক কর্মকর্তার অনুমোদন নিয়েই মাটি কাটছি। পরে বলেন, আমার জায়গা থেকে আমি মাটি কেটে বিক্রি করছি এতে উপজেলার কোন অনুমোদনের পরোয়া করিনা।

এ ব্যাপারে ওসমান কাজীর সঙ্গে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে মাটি খেকো আক্কাস সরদার উপজেলার উপজেলার প্রত্যেক কর্মকর্তার অনুমোদন নিয়েই মাটি কাটছি।

এ বিষয়ে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রহমান মন্ডল বলেন, আমি বারবার উপজেলার ইউএনও মহোদয়কে জানিও বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে পারেনি।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলার নির্বাহী কমিশনার ভূমি রফিকুল ইসলাম জানান, আইনগতভাবে মাটি বিক্রি করার কোনো অনুমোদন উপজেলা প্রশাসন কাউকে দেয়নি। যারা মাটি বিক্রি করছে খুব শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি মুঠোফোনে বলেন , আমার নাম বলে যদি কেউ মাটি ব্যবসা করে থাকে তাহলে তাকে ধরে পুলিশে দিয়ে দিন। আমি কাউকে কোন মাটি ব্যবসা করার অনুমতি দেইনি।

(এইচ/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test